পিতার মতো, দেশবাসীর সুখে-দুখে নিজেকে একাকার শেখ হাসিনা

পিতার মতো, দেশবাসীর সুখে-দুখে নিজেকে একাকার করে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, আধুনিক দেশগড়ার রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগে নিজেই ছুটে যেতেন সব জায়গায়, এখন করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে নিজেকে গণভবনে আটকে রাখলেও থেমে নেই তার কোন কাজ। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে দাপ্তরিক সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের খোঁজখবর। দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক থেকে শুরু করে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সভা করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। কেননা পিতার মত তার ভাবনার মূলেও যে দেশের জনগণ।

বছরটা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর, আয়োজনও ছিল বছরজুড়ে। হঠাৎই বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের থাবায় পাল্টে যায় সব।

জনসমাগম এড়াতে ডিজিটাল মাধ্যমে করা হয় মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী আয়োজন। জীবন বাঁচাতে ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু হয় সাধারণ ছুটি, বন্ধ করা হয় গণপরিবহন, তবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাড়তে থাকে ছুটির মেয়াদ, যা চলছে এখনও। শুরু থেকেই করোন সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। ভাইরাসটি’র সংক্রমণ রোধের শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা রোগির চিকিৎসা ডাক্তার নার্স ও টেকনিশিয়ানদের কাজ করতে প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করছেন সরকারপ্রধান। সচেতন করার পাশাপাশি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী।  ২ মাসে এমন ৬টি কনফারেন্সে যোগ দিয়ে দলমত না দেখে অসহায়দের কাছে ত্রাণসহ সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দিতে প্রশাসন ও দলীয় কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত সোয়া ১ কোটি পরিবারের সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ।একই সাথে ঈদ উপলক্ষে দেশের ৮ বিভাগের ৬০৭০ কওমি মাদরাসাকে প্রায় কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন সরকারপ্রধান। রেশন কার্ডের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ কোটি।