• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বকশীগঞ্জ ভিক্ষুক পূর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সহায়তা প্রদান

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২১  

বৃহস্পতিবার ১০ জুন, দুপুরে উপজেলা মাঠে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ৯ জন ভিক্ষুককে প্রথম পর্যায়ে পূর্নবাসনের লক্ষে ২টি করে ছাগল,৪ কেজি করে খাদ্য প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েতউল্লাহ সহ আরো অনেকেই,

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে সরকার।ভিক্ষাবৃত্তি একটি স্বাধীন জাতির জন্য মর্যাদাহানিকর।

ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহন করেছে। বকশীগঞ্জ উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৮ জন নারী ও পুরুষ ভিক্ষুকের তালিকা তৈরী করা হয়েছিল।ভিক্ষুকমুক্ত বকশীগঞ্জ গড়ার লক্ষ্যে বিগত ২-৩ বছর ধরেই উপজেলা প্রশাসন, বকশীগঞ্জ কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত দিন দশেক পূর্বে ভিক্ষুক ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি তালিকা অনুসারে দিনব্যাপী ভাইভা কার্যক্রম গ্রহণ করেন উপজেলা । তালিকা যাচাইয়ে দেখা যায় যে প্রত্যেক ভিক্ষুক -ই সরকারের বিভিন্ন সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় যে কোন একটির সাথে ইতোমধ্যে সংযুক্ত আছেন। যেমন- বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি চাল কার্যক্রম সহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা তারা পাচ্ছেন। তথাপি তাদের পরিবার বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী লোকটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে ঠেলে দিচ্ছেন। অনেকটা পেশা হিসেবেই তারা এটাকে বেছে নিয়েছেন।। তাদের সাথে কথা বলে তাদের চাহিদামাফিক আজ ধানুয়াকামালপুর, বগারচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৯জন ভিক্ষুককে ২টি করে মোট ১৮টি উন্নত জাতের ছাগল, এককালীন ছাগলের খাদ্য, ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট বিনামূল্যে প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা । ফলস্বরূপ ভিক্ষুকদের
পরিবারের সামর্থবান লোকজন এই ছাগলগুলো লালন-পালন করবে ও
তাদের নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করবে এবং তারা আর বয়োবৃদ্ধ বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে ঠেলে দিবে না বলে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছে। উপজেলা পর্যায়ে একটি মনিটরিং
টিম তাদের এই কার্যক্রম মনিটরিং করবেন ও উপজেলা কমিটির নিকট রিপোর্ট করবেন। ধাপে ধাপে এভাবে উপজেলার সকল ভিক্ষুককে পুণর্বাসন করা হবে এবং তাদের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হবে। এই পুঁজি থেকেই ধীরে ধীরে তারা তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করবেন।

তিনি আরো বলেন, এই উপজেলায় যারা ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত। তাদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এদের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করা হবে। অর্থপ্রাপ্তির স্বাপেক্ষে এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন হতে ভিক্ষুক নির্মূলে কাজ শুরু করা হবে। এই প্রকল্পে এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা পাওয়া গেছে পর্যাক্রমে এই জেলা ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে। এজন্য সবাইকে সহযোগীতা করার আহবান জানান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর