• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বকশীগঞ্জে ১৪২ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘরের দলিল হস্তান্তর

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২১  

জামালপুরের বকশীগঞ্জে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। 

 

শনিবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে ঘর গুলো উদ্বোধন করেন।

 

ঘর উদ্বোধন উপলক্ষে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর ও জমির কাগজপত্রাদি হস্তান্তর করেন। 

 

উক্ত দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার, ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা, বকশীগঞ্জ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস, বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, সহসভাপতি নুরুল আমিন ফোরকান, উপজেলা পিআইও হাসান মাহবুব খান,  বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন সহ সাংবাদিক, সুধীমহল সহ স্থানীয় গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

উল্লেখ্য, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জামালপুরের ৭টি উপজেলার ১৪৭৮টি পরিবারকে পুনর্বাসনের  আওতায় আনা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রতিটি ঘর নির্মাণের ব্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তারই ধারাবাহিকতায় বকশীগঞ্জ উপজেলায় খাস জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৪২ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। যা আজ বকশীগঞ্জ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ২৮ পরিবার, বগারচর ইউনিয়নের ১২ পরিবার, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ১০ পরিবার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৯ পরিবার, বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৫ পরিবার, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ১৭ পরিবার ও মেরুরচর ইউনিয়নের ৬১ পরিবারসহ মোট ১৪২ টি পরিবারের মাঝে জমির দলীলপত্রাদি হস্তান্তর করা হয়। 

 

জানা যায়, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের স্থায়ী ঠিকানা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প প্রথম পর্যায়ের ৬৬ হাজার ১৮৯টি একক গৃহ নির্মাণের সামগ্রিক কাযত্রক্রম সমন্বয় করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে একক গৃহগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় যেসব পরিবার গৃহ পাচ্ছে, সেসব পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমিও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সব গৃহের নকশা একই রকম হচ্ছে। প্রতিটি গৃহে ইটের দেওয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং লাল, নীল ও সবুজ রঙের টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, টয়লেট এবং সামনে খোলা বারান্দা থাকবে। গৃহপ্রতি ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ হিসাবে গৃহহীনদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।

 

সরকারের হিসাব মতে, সারা দেশে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৯৭, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ হাজার ৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৯৭, রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৪, রাজশাহী বিভাগে ৯৬ হাজার ৫০৪, খুলনা বিভাগে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪১১, বরিশাল বিভাগে ৮০ হাজার ৫৮৪ এবং সিলেট বিভাগে ৫৫ হাজার ৬২২টি গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে জমি ও ঘর নেই, এমন পরিবারের পাশাপাশি ১০ শতাংশ জমি আছে; কিন্তু বাড়ি জরাজীর্ণ, এমন পরিবারও রয়েছে। মুজিব বর্ষে প্রায় ৯ লাখ পরিবারই পর্যায়ক্রমে গৃহ পাচ্ছে। 

 

যার সূচনা ঘটছে আজ শনিবার প্রথম ধাপের ৬৯ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর