• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বকশীগ‌ঞ্জে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির মাছ!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২০  

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ দশআ‌নি নদীতে মৎস্য শিকারীর জা‌লে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির মাছ ‘বামুস’। উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের দশআ‌নি নদী থেকে পুরান টুপকার চর গ্রা‌মের মোঃহাসর উদ্দি‌নের ছে‌লে মোঃ শাহান আলীর জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছ‌টির পৃষ্ঠ বাদা‌মি রঙের পি‌চ্ছিল,কা‌লো ফুটা ফুটা দাগ‌ যুক্ত।মাছটির ওজন প্রায় তিনকে‌জি।দৈ‌র্ঘে অনুমা‌নে ৪ ফুট।

 

র‌বিবার সন্ধ‌্যায় উপজেলার পুরান টুপকার চর গ্রামের মোঃ শাহান আলীর ফাঁদে মাছটি ধরা পড়ে। রা‌তেই উৎসুক জনতা মাছ‌টি দেখ‌তে ভিড় জমায়।সকা‌লে স্থানীয় পাক্কার মাথা বাজা‌রে বি‌ক্রির জন‌্য নি‌য়ে আস‌লে কেউ কেউ দুহা‌তে উপ‌রে তু‌লে ধ‌রে। উৎসুক মানুষজন মাছ‌টি‌কে কে‌ঁচো,সামু‌দ্রিক,ইল,ই‌লেক‌ট্রিক মাছ ব‌লে মত প্রকাশ ক‌রে।

 

জীবনবৃত্তান্ত: বামোস মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Anguillla bengalensis. এটি Anguillidae পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। লম্বায় এরা ৮০ থেকে ১২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর স্থানীয় নাম বামোস, বামুস, বামাস, বাউস, বাওস, বানেহারা, বাও বাইম, বাউ বাইম, তেল কোমা, বাও মাছ, বাউ মাছ।

 

এদের দেহ লম্বা, সাপের মত। মাথা কোনাকৃতি। লেজ খাড়াখাড়ি ভাবে চাপা। মুখের চিড় চোখের পেছন পর্যন্ত পৌঁছে। ঠোঁট পুরু। চোখ মুখের কোনের কাছে অবস্থিত। পৃষ্ঠ পাখনা পায়ু পাখনার উৎপত্তিস্থলের সম্মুখভাগ থেকে আরম্ভ হয়।ত্বক স্যাঁতস্যাঁতে ও পিচ্ছিল। আঁইশ অতি ক্ষুদ্র, সাধারনভাবে চোখে পড়ে না। পৃষ্ঠ হালকা বাদামী রংয়ের। উদর ও পার্শ্ব হালকা হলুদ। দেহের উপরের অংশে অসংখ্য কালচে ফোঁটা থাকে।

 

মাছটি আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে এটি বিরল প্রজাতির মাছের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ী অঞ্চলের নদীতে কিছু কিছু ধরা পড়ে। দাম ও আকাশ ছোঁয়া।এ মাছটি খেলে বিভিন্ন রোগ ভাল হয় এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে। উ‌ল্লেখ‌্য গত বছর একই সম‌য়ে এই প্রজা‌তির আ‌রো এক‌টি মাছ ধরা প‌ড়ে‌ছিল। বিরল ‌প্রজা‌তির যে কোন প্রজা‌তিভূক্ত মাছ ধরা পড়‌লে ডল‌ফিন এর মত তা সংরক্ষণ এর দা‌বি স‌চেতন মহ‌লের।।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর