• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:

বলিউডের যে পাঁচটি ছবি বাবা-মা’র সঙ্গে দেখা নিষেধ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২০  

নিজ ঘরে অথবা বাইরে এমন কিছু সিনেমা আমরা বাবা-মা’র সাথে দেখতে বসে পড়ি, যা কিছুক্ষণ চলার পরে আমরা না-পারি উঠে যেতে, না পারি বসে ছবি উপভোগ করতে। সেটা ১৯৮০-র দশকের কথা। এক খ্যাতনামা কবি দম্পতি তাঁদের শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ইঙ্গমার বার্গম্যানের ‘ফ্যানি অ্যান্ড আলেকজান্ডার’ ছবিটি দেখতে গিয়েছেন এসপ্লানেড অ্ঞ্চ’লের একটি হল-এ।

 

ছবি শুরু হওয়ার কিচুক্ষণের মধ্যেই দম্পতির চক্ষু চড়ক গাছে। সুইডেনের এক স্বচ্ছল যৌথ পরিবারকে নিয়ে বিংশ শতকের গোড়ার দিকের পটভূমিকায় নির্মিত এই ছবিতে কিছুক্ষন পর পর যৌনতা। তার উপরে রয়েছে ভয়াবহ সব বদ রসিকতা। এ ছবিকে ‘কাল্ট’ বলে মনে করেন বিশ্বসুদ্ধু ক্রিটিক। কিন্তু, এক বাঙালি দম্পতির সন্তান-সান্নিধ্যে এই ছবি এনজয় করা কী দুঃসহ হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়।

 

দম্পতি একবার ভাবছেন, হল থেকে বেরিয়ে যাবেন কি না, পরক্ষণেই আবার মনে হচ্ছে, হঠে পড়াটা আরও ক্যাডাভ্যারাস হবে। প্রাক কৈশোরের পুত্ররত্নটি কি ছেড়ে কথা কইবে? কেন উঠে যাব— এই প্রশ্ন সে অবধারিত ভাবে করবেই, আর তখন কী উত্তর দেবেন তাঁরা? এই রকম উভয় সঙ্কটে পড়তে হয়েছে বেশিরভাগ বাঙালিকেই। আজও হয়। ঘরে অথবা বাইরে এমন কিছু সিনেমা আমরা দেখতে বসে পড়ি বাবা-মা সমভিব্যহারে, যা কিছুক্ষণ চলার পরে আমরা না-পারি উঠে যেতে, না পারি বসে ছবি উপভো’গ করতে। অথচ এই সব ছবি একা বা সমবয়সিদের সঙ্গে দেখলে এমন প’রিস্থিতির সৃ’ষ্টিই হতো না। তেমন ৫টি বলিউড ছবির হদিশ রইল এখানে।

 

ইনসাফ কা তরাজু— ১৯৮০ সালের এই ছবি আজও টিভি-র বিভিন্ন চ্যানেলে দেখানো হয়। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমরাও সপরিবার দেখতে শুরু করি। কিন্তু দু’খানি ভ’য়াল-ভ’য়ঙ্কর ধ’র্ষণদৃ’শ্যের সামনে পড়ে ধরণী দ্বি’ধা হও-প’রিস্থিতির সৃষ্টি হয়ই। বিশেষ করে ‘মাইনর’ পদ্মিনী কোলাহ্‌পুরীর যৌ’ননিগ্র’হের দৃ’শ্যটি আজও গুরুজনের সামনে অস্ব’স্তি তৈরি করে।

 

গ্যাংগস অফ ওয়াসিপুর— না কোনও আ’পত্তিকর দৃ’শ্য এখানে নেই। কিন্তু ধানবাদ খনি অ’ঞ্চলের রূ’ঢ়তম বা’স্তবকে ক্যামেরায়িত করতে পরিচালক অনুরাগ কাশ্য’প ব্যবহার করেছিলেন অমেয় স্ল্যাং। প্রায় প্রতিটি সংলাপেই ঝরে পড়েছে ঠেঠ অপভা’ষার ম’ণিমুক্তো। ‘সপরিবারে’ এ ছবি দেখা সত্যিই ক’ঠিন।

 

দিল্লি বেলি— ২০১১-এর এই ডার্ক কমেডির না’ন্দনিকতা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু পরিচালক অভিনয় দেও আর চিত্রনাট্যকার অক্ষ’ত শর্মা রাজধানীর আরবান স্ল্যাং’কে তুমুলভাবে ব্যবহার করেছিলেন এই ছবিতে। তার উপরে ছিল বদলাতে থাকা সামাজিক স’ম্পর্কের খতিয়ান। বাঙালির সপরিবার মুভিদর্শন এখানেও অ’স্বস্তিকর।

 

পার্চড— লীনা যাদব পরিচালিত ২০১৫-এর এই ছবির কে’ন্দ্রীয় বিষয় রা’জস্থানের মরু অ’ঞ্চলের সমাজ ও নারী। নারী অবদমনের বাস্তবকে তুলে ধরতে একদিকে যেমন উঠে এসেছে স্প’ষ্ট ন’গ্নতা, তেমনই এর সংলাপে কোনও আগল রাখেননি পরিচালক। যৌ’নতা এখানে এতটাই অবারিত যে, পারিবারিক দ’র্শন সত্যিই দু’রূহ।

 

পিঙ্ক— অনি’রুদ্ধ রায়চৌধুরীর ২০১৬-এর হিন্দি ছবিরও বিষয় নারী-নিগ্রহ। রয়েছে লম্বা আ’দালত-দৃ’শ্য। চি’ত্রনাট্যের প্রয়োজনেই উঠে এসেছে এমন সব সওয়াল-জবাব, যা বয়ঃস’ন্ধি পর্বের সন্তান-সহযো’গে উ’পভোগ করা কঠিন। সব থেকে অ’স্বস্তিকর প’রিস্থিতি তৈরি হয়, যখন অ’প্রাপ্তব’য়স্কটি বাবা বা মা’র কাছে জানতে চায়, ছবিটার নাম ‘পি’ঙ্ক’ হল কেন। স্ত্রী-জননা’ঙ্গের স্বা’ভাবিক রংকে ছবির তকমায় লাগানোর জন্য পরিচালক সাধুবাদ পেতেই পারেন। কিন্তু একে গ্রহণ করে উপভোগ করতে ভারতীয় তথা বং-মধ্যবিত্তির এখনও ঢের দেরি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর