বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম পিসিআর টেস্ট কিট অনুমোদন

বাংলাদেশি বায়োটেক কোম্পানি ওএমসি হেলথকেয়ার (প্রা.) লি. উদ্ভাবিত দেশের প্রথম আরটি-পিসিআর টেস্ট কিটকে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিয়ম শতভাগ মেনেই এই আরটি-পিসিআর কিট তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওএমসি হেলথকেয়ার।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে গত ৩ জানুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন এবং সরবরাহ করার অনুমোদন পেয়েছে কিটটি। দেশি কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা হলে খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাবে। 

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত এ কিটটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মিউটেশনের ধরণ শনাক্তকরণে সম্পূর্ণ সক্ষম। ফলে এটি কোভিড-১৯ এর কার্যকর শনাক্তকরণ এবং ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা।

মহামারির কারণে বিদেশ থেকে সময়মতো চাহিদা অনুযায়ী কোভিড-১৯ টেস্ট কিট আমদানি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই দেশেই এ কিট পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হলে করোনা পরীক্ষায়ও গতি বাড়বে।

ওএমসি হেলথকেয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে এবং প্রয়োজনে এই সক্ষমতা বাড়ানো যাবে।

কিটের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, কিটের সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে আমরা স্বয়ংক্রিয় অটোমেটিক প্রোডাকশন লাইন ব্যবহার করেছি।

ঔষধ প্রশাসন এবং আইইডিসিআরের সর্বাত্মক সহযোগিতায় কিটটির অনুমোদন দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে বলে মেজবাহুল কবির জানান।