• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন যারা?

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০  

জীবন কেড়ে নেওয়া নোভেল করোনা ভাইরাস বিশ্বের ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশে। শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য মতে- দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। মারা গেছেন ছয় জন। চিকিৎসাধীন ২৯ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন।

 

বাংলাদেশে প্রথম রোগী ৮ মার্চ শনাক্ত হন। প্রথম দিকে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা বেশির ভাগই ইতালিফেরত। কিন্তু আপনি জানেন- দেশে এখন পর্যন্ত কারা সবচেয়ে বেশি করোনাতে আক্রান্ত?

 

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৫৬ জনের তালিকা পর্যালাচনা করে দেখা গেছে মাত্র ১৬ জন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন আর ৪০ জন তাদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। আইইডিসিআর এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন ইতালি ফেরত, ৩ জন যুক্তরাষ্ট্র ফেরত আর ২ জন সৌদি আরব ফেরত। আর একজন করে জার্মানি, বাহরাইন, ভারত, কুয়েত ও ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরা।

 

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, মূলত যারা বিদেশ থেকে এসেছেন বা সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে তাদের মাধ্যমে করোনা ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন। যেমন, একটি পরিবারে আমরা ছয় জনকে করোনা পজিটিভ পেয়েছি।

 

তথ্য মতে- আক্রান্তদের বয়স হিসাব করে দেখা গেছে যে সবচেয়ে বেশি ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে যাদের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে। তারপরেই রয়েছে যাদের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে।

 

ডা. এ এস এম আলমগীর জানান, তবে যখন মৃতের বয়স দেখি তখন দেখতে পাই ছয় জনের বয়সে ছিলো ৬০ এর উপরে; যার মধ্যে চার জন পুরুষ ও দুই জন নারী। করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩২ জনের কোনো মৃত্যু ঝুঁকি ছিলো না। আক্রান্তদের মধ্যে নারীদের চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। মোট ৬১ জন রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই পুরুষ। তবে ভালো সংবাদ হলো এরইমধ্যে ২৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।

 

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস-এর এপিডোমোলজি বিভাগের প্রধান ড. প্রদীপ কুমার সেনগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শুরু থেকেই সরকারের ব্যাপক সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে। আশা করছি এসব সতর্কতা দেশবাসীর জন্য সুফল বয়ে আনবে।

 

তিনি বলেন, ভাইরাসটির প্রবণতা ভিন্ন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণার আগে খুব বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তার মতে, এটা নতুন ভাইরাস। পশ্চিমা বিশ্বেও খুব বেশি তথ্য নেই। শুধু কিছু ধারণার ওপর ভিত্তি করে গবেষণা চলছে। যেমন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা একটা বিষয় হতে পারে। কিন্তু এ সম্পর্কে কোনো যথাযথ তথ্য নেই। তাই ধারণাগুলো গ্রহণ বা নাকচ কোনটিই করতে পারছি না।

 

করোনা নিয়ে তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এর তথ্য মতে, ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ১৬৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ জন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর