• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আশার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন মামুন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০  

তরুন শিক্ষিত যুবক মামুন সরকার পলাশবাড়ী পৌর শহরের বৈরী হরিনমারী গ্রামের একজন বাসিন্দা ।  বাংলাদেশ পলিট্যাকনিক সাইন্স থেকে মাষ্টার্স কমপ্লিট করে বেকার জীবন যাপন করছিলেন।  বর্তমানে চাকুরির আশা ছেড়ে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা বাস্তবায়নে একজন সফল উদ্যোগক্তা হিসেবে তিনি এলাকায় বেশ পরিচিতি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি নর্দান বায়োফ্লক ফিস ফামিং নামে আধুনিক বায়োফ্লক ও বটম পদ্ধতিতে মৎস্য চাষের জন্য সম্পুর্ন্ন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তিনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন। এছাড়া ও বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য বেকার যুবকদের প্রশিক্ষন প্রদানের পাশাপাশি ,পোনা মাছ ক্রয়, বিক্রয় করে সাবলম্বী হওয়ায় স্বপ্ন চোখে এগিয়ে যাচ্ছেন । 

 

মামুন সরকার জানান, বাংলাদেশের তরুণ মৎস্য চাষিদের মধ্যেই অনেকেই নতুন এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন যার নাম বায়োফ্লক, যা দেশে মাছের উৎপাদন অতি দ্রæত বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে ।  যদি ও মাছ চাষের এই পদ্ধতিটি বাংলাদেশে এসেছে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে। এই পদ্ধতি যেখানে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অল্প জায়গায় বিপুল পরিমান মাছ চাষ করা হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। তিনি আরো জানান যে প্রচলিত পদ্ধতিতে মাছ চাষের চেয়ে এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ আলাদা।এখানে টেকনিক্যাল বিষয় গুলোর সুচারুরূপে দেখতে হয়। আমি প্রায় ৭ টি ট্যাংকে শিং, কই, মাগুর ও পাবদাসহ বেশ কয়েক ধরনের মাছ চাষ করছি"। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষতদের চাকুরীর পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তার দেখানোর পথ অনুসরন করেই আমি উদ্যোগক্তা হয়েছি। এছাড়াও আমি নিজ উদ্যোগে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষন দিয়ে এই মাছ চাষে আগ্রহী করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করছি। এ চাষে নতুন নতুন উদ্যোগক্তা সৃর্ষ্টি করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।  এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৯ অক্টোবর সোমবার এখানে এক প্রশিক্ষন কর্মশালাল আয়োজন করা হয়েছে।

 

মৎস্য গবেষকদের মতে জানা যায়, বায়োফ্লক এমন একটি পদ্ধতি যেখানে জৈব বর্জ্যের পুষ্টি থেকে পুনঃব্যবহারযোগ্য খাবার তৈরি করা হয়।অর্থাৎ যে ব্যাকটেরিয়া ও শৈবাল তৈরি হয় তা পানিতে উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেন গঠিত জৈব বর্জ্যকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি হতে না দিয়ে নিজেদের বংশ বাড়ায় এবং এটিকেই ফ্লক বলে।এসব ফ্লকে প্রচুর উপাদান থাকে, যা মাছের পুষ্টির যোগান দেয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে প্রোবায়োফ্লকটি কালচারের মাধ্যমে ফ্লক তৈরি করা হয়।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর