• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

বিএনপির দুর্নীতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যোগাযোগ ও বিদ্যুৎখাত

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২১  

 স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক দুর্নীতি করে দেশকে বিপর্যস্ত করে তোলো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশের মানুষ ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আজও মানুষ ভোলেনি। আর এসব রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, সীমাহীন লুটপাটের শিরোমণি হলেন বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খালেদা জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপক দুর্নীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার করেন তারেক। সন্ত্রাস আর দুর্নীতির আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন হাওয়া ভবন। এসব কারণে ক্ষমতা হারানোর ১৫ বছর পরেও বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ।

তথ্যসূত্র বলছে, ২০০১ সালের সূক্ষ্ম কারচুপির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই জিয়া পরিবার জড়িয়ে পড়ে পাহাড়সম দুর্নীতিতে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান খালেদা, তারেক ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো। রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি, কমিশন বাণিজ্য করে জিয়া পরিবার লঞ্চ, টেক্সটাইল মিলস, বিদেশে বাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স এর মালিক বনে যায়। তারা শুধু দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার মালিক হয়েই ক্ষান্ত হননি, সেই টাকা বিদেশে পাচারও করেছেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র চালান, দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতিতে জড়িয়ে দেশের ব্যাপক ক্ষতি করেন খালেদা ও তারেক রহমানরা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যোগাযোগ ও বিদ্যুৎখাত। শুধু বিদ্যুৎ সেক্টর থেকেই বিশ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিলেন তারেক-মামুন চক্র। বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের নামে শুধু খাম্বা পুঁতে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তারেক রহমান। এই দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তারেককে ‘খাম্বা তারেক’ হিসেবেও ব্যঙ্গ করে থাকেন অনেকে। এছাড়া রাজধানীর অদূরে টঙ্গির বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম পরিচালনা করে ‘নির্মাণ কনস্ট্রাকশন’ কোম্পানির কাছ থেকে তারেক রহমান ও মামুন ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা টাকা নিয়ে তা সিঙ্গাপুরে পাচার করেন। কানাডার কোম্পানি নাইকোকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে বিপুল অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তারেক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিলো।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর