• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সখীপুরে সূর্যমুখী ও ভুট্টা চাষে সফল হাসিনা বেগম

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২১  

সুষ্ঠু পরিকল্পনা, ইচ্ছে শক্তি আর যথাযথ শ্রম দিলে, যে কোন কাজেই প্রতিষ্ঠা লাভ করা সম্ভব-সেটাই প্রমাণ করেছে টাঙ্গাইলের সখীপুরের কচুয়া গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা বেগম। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে ভূট্রা ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি। স্বামী আর সন্তানদের সময় দেওয়ার পর অবসরে নিজেদের সীমিত সম্পদের প্রতি ইঞ্চি মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অধিক ফসল ফলিয়ে একের পর এক সফলতা বয়ে এনেছেন হাসিনা বেগম। তার এ সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আশপাশের গ্রামের চাষীরাও ঝুকছেন ভূট্রা ও সূর্যমুখী ফুল চাষে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি সূর্যমুখী গাছে মৌচাকের মতো বিশাল একেকটি গোল ফুল হলুদ রঙের নজরকাড়া রূপ ছড়িয়ে দিচ্ছে। সূর্যের মুখোমুখি প্রতিটি ফুল ফলভারে কিছুটা নুয়ে আছে। খেতজুড়ে হলুদ আর সবুজের মাখামাখি। পাশেই ভুট্টাখেত। তাতেও নরম সবুজের প্রতিটি ভুট্টাগাছের মাথায় কাশফুলের মতো ছড়ানো খয়েরি রঙের ফুল। প্রতিটি গাছেই ভুট্টা ধরেছে। ক্রমশ পুরুষ্ট হয়ে উঠছে ভুট্টার দানা। ভুট্টা আর সূর্যমুখীর দুটি খেতই এলাকায় নতুন আলো ছড়াচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

সখীপুরে স্ত্রীর আঘাতে স্বামী নিহত, স্ত্রী আটক
 APRIL 27, 2021
সখীপুরে স্ত্রীর আঘাতে স্বামী নিহত, স্ত্রী আটক  APRIL 27, 2021
সখীপুরে সাপের ছোবলে যুবকের মৃত্যু  APRIL 27, 2021
 

 
চাষী হাসিনা বেগম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সূর্যমুখী ও ভুট্টার প্রদর্শনী প্লট নিয়ে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ও ৪৫ শতাংশ জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। আমাকে কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শে দিয়েছে। আশার চেয়েও ফলন ভালো হয়েছে ।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আব্দুস ছাত্তার বলেন, হাসিনা বেগম কৃষি অফিসের প্রদর্শনী প্লট নিয়ে ভুট্রা ও সূর্যমুখী চাষ করেছে।ফলনও ভালো হয়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা ও সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার, ওষুধও কম লাগে। তেমন পরিচর্যা করতে হয় না। উপজেলার অনেক কৃষক এখন ভুট্টা ও সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাইছি অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় নিয়ে আসতে। গতানুগতিক চাষের বাইরে কম খরচে যাতে বেশি লাভ হয়, সে রকম চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সূর্যমুখীর চাহিদা আছে। এখন সাধারণ মিলেও এগুলো প্রক্রিয়াজাত করা যায়। প্রথমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা হবে। কোলেস্টেরলমুক্ত। অন্য তেলের মতো ক্ষতিকর না। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্যমুখীর তেলের এখন অনেক চাহিদা। এখানেও আস্তে আস্তে চাহিদা তৈরি হবে। সূর্যমুখী ও ভুট্টা বাড়তি হলে বাজার চেইন আমরা সৃষ্টি করে দিব। ফসল বিক্রি করতে তখন অসুবিধা হবে না। কৃষক এক বিঘা জমিতে লক্ষ টাকা আয় করতে পারবে। ধান চাষে এটা পাবে না।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর