• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ভারতে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন চাইল ফাইজার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২০  

মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার এবার ভারতে জরুরি ভিত্তিতে তাদের তৈরি করোনা-ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই এর কাছে। সম্প্রতি সাধারণের ব্যবহারের জন্য ব্রিটেন এবং বাহরাইনে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি প্রতিষেধক জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র পেয়েছে।
সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ভারতেও সেই ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র পেতে ডিজিসিআই এর কাছে আবেদন জানিয়েছে ওই সংস্থা।

ভারতীয় সরকারি ওই সূত্র বলছে, ৪ ডিসেম্বর ফাইজার অনুমতিপত্রে লিখেছে, ভারতে ওই ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে আমদানি করে অবিলম্বে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হোক। ২০১৯ এর নিউ ড্রাগস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস আইন অনুযায়ী ভারতীয়দের উপর এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপর ছাড় দেয়া হোক।

বুধবারই ব্রিটেনে এই ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের তরফে জানানো হয়, আগামী সপ্তাহ থেকে ব্রিটেন জুড়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করা হবে। তবে এই কর্মসূচি হবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। প্রথমে একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদেরই ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বরিস জনসন সরকার।

ব্রিটেন এরইমধ্যে ২ কোটি মানুষের ভ্যাকসিনের জন্য ওই সংস্থাকে ৪ কোটি ডোজের বরাত দিয়েছে। প্রত্যেককে দু’টি ডোজে ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর। এছাড়া, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরো ১ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শনিবার বাহরাইনও সেই পথে হেঁটেছে। ফাইজার জানিয়েছে, ব্রিটেনে টিকা বণ্টনের জন্য তারা প্রস্তুত।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। অতিসঙ্কটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে এই টিকা আনুমানিক ১০০ শতাংশ কাজ করে বলেও দাবি ওই সংস্থার। সূত্রের খবর, ডিজিসিআই চাইলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতে পারে।

শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনটি পৃথক ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ফাইনাল স্তরে রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় সংস্থা এ বিষয়ে একযোগে কাজ করছে। ভ্যাকসিন এলেই যাতে বণ্টন করা যায়, তার জন্য আমরা প্রস্তুত।

ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন বেশি কার্যকর হলেও এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন বিশেষ ব্যবস্থা। এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। অন্য যে ভ্যাকসিনগুলোর ট্রায়াল চলছে ভারতে, তা হিমাঙ্কের নীচে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়।

গবেষকদের মতে, ফাইজার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিন এক ধরনের এমআরএনএ জাতীয় ভ্যাকসিন। তারা জানিয়েছেন, ভাইরাসের জেনেটিক কোড থেকে ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আগেই জানিয়েছিল, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের জন্য ১০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে সাতশো টাকা খরচ হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর