• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ভোজ্যতেল ৯ খাদ্যপণ্য নিতে চায় তিন দেশ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যে ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায় এখন বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যে ভরসা রাখছে সিঙ্গাপুর ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ আরব আমিরাত ও কাতার। সম্প্রতি কূটনৈতিক মাধ্যমে এই তিনটি দেশ বাংলাদেশ থেকে ভোজ্যতেল, চিনি, সবজি ও মাছ-মাংসসহ অন্তত নয় ধরনের খাদ্যপণ্য নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর চিঠি পাওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে (ইপিবি) নির্দেশনা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

 

সূত্রগুলো জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে ফুড আইটেম, শাক-সবজি, ফলমূল ও মাংস নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। কাতার নিতে চাইছে চাল, গম, ভোজ্যতেল, পাউরুটি ও চিনি। আর চাল, গম, আলু ও শাক-সবজি আমদানির জন্য আগ্রহপত্র দিয়েছে সিঙ্গাপুর।  সবমিলিয়ে দেশগুলো নয় ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধী ‘রেমিভির’ ওষুধ আমদানির জন্য ইন্দোনেশিয়া পৃথকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, করোনা সংকটে দেশের রপ্তানি খাত যখন বিপর্যস্ত তখন ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য ও ওষুধ আমদানির বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে সরকার। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আগ্রহ অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা সংকট শুরুর পর থেকেই সিঙ্গাপুর ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে শাক-সবজি, ফলমূল, মাছমাংস ইত্যাদি খাদ্যজাত পণ্য আমদানির আগ্রহপত্র পাঠায়। তাদের চিঠি পাওয়ার পরপর আমরা সম্ভাব্য খাদ্যপণ্য এবং রপ্তানিকারকদের তালিকা দেশগুলোর কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা (কমার্শিয়াল কাউন্সিলর) সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আমদানিকারক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির বিষয়টি সমন্বয় করছেন। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, করোনা মহামারী ছড়িয়ে যাওয়ার পর দেশের রপ্তানি খাতের প্রায় সবপণ্যে ঋণাত্মক প্রভাব পড়লেও করোনাপ্রতিরোধী ওষুধসামগ্রী, হিমায়িত মাছ ও শাক-সবজি রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে প্রান্তিকে আগের অর্থবছরের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি হয়েছে হিমায়িত মাছ রপ্তানি। আগের বছরের তুলনায় জুলাই-মে প্রান্তিকে সবজি রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৬১ শতাংশ, টাকার অঙ্কে যা দেড়শো মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর