• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

মৃত্যুফাঁদে ঝুলে আছে বাঁশখালী ইকোপার্কের ঝুলন্ত সেতু

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুটির অবস্থান চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্কে।

 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপূর্ব সমন্বয় বাঁশখালী ইকো-পার্কের ঝুলন্ত সেতুটি এখন মরণফাঁদ। সু-উচ্চ পাহাড়, মনজুড়ানো সবুজের ছায়াঘেরা গাছগাছালি, সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণীর হাকডাক, বামের ও ডানের ছড়া লেকের স্বচ্ছ জলরাশি, সু-উচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ সব মিলিয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নয়নাভিরাম অভয়ারণ্য বাঁশখালী ইকো-পার্ক। এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো রয়েছে অজস্র প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের সংমিশ্রণ। বিকেলের গোধূলিতে লেকের সৌন্দর্য্যে মন ভরে যায়। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির বিচরণ পার্কটিকে করেছে আরো রোমাঞ্চকর।

 

সরকারী দীর্ঘ ছুটির দিনে, সপ্তাহের শুক্রবারে দেশর ভিবিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ করতে আসে ভ্রমণবিলাসী লোকজন। এমনিতেই নিত্যদিন দর্শকের আনাগোনায় মুখরিত থাকে পার্কটি। বিগত ২০০৮ সালের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে বাঁশখালী ইকোপার্কের বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে বামের ছড়া লেক জলশুন্য হয়ে পড়ে, হারিয়ে যায় সোন্দর্য্যের বিরল দৃশ্য। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও পার্কের সৌন্দর্য্য বর্ধনের মতো কোন কাজ দৃশ্যমান হয়নি। সেই অবধি পর্যটক শুন্য হয়ে পড়ে বাঁশখালী ইকোপার্ক।

 

কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হলেও নজর নাই ঝুলন্ত সেতুটির দিকে। দর্শকের আনাগোনা আগের চেয়ে কম হলেও বার্ধক্যজনিত ঝুলন্ত সেতুটির প্রধান ফটকে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লেখা আছে ১০ জনের অধিক যাত্রী উঠা নিষেধ। সরেজমিনে গিয়ে সেতুর বেহাল দশাটি চোখে পড়ে। কয়েকটি গাছের পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে লোহার এ্যাংগেল থেকে। পাটাতন সংযুক্ত এ্যংগেলে ধরেছে মরিচা। পর্যটকের জীবন ঝুঁকির ও মরণ ফাঁদের আরেক নাম যেন বাঁশখালী ইকোপার্কের ঝুলন্ত সেতুটি। যেখানে ১০ জনের অধিক লোকের সেতু পারাপারের নিষেধ করা হয়েছে সেখানে ১জনের জন্যেও বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে সেতুটি।

 

সীতাকুণ্ড থেকে আসা এক পর্যটক নাছিমুল হক বলেন, বাঁশখালী ইকোপার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা জেনেছি নানা প্রমাণ্য চিত্র ও খবরের কাগজে। কিন্তু এসে দেখি বর্ণিত সে সৌন্দর্য্য এখন ম্লান। এখানে বণ্যপ্রাণীর খাঁচা থাকলে আরো ভালো দেখাতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের সমন্বয় থাকলে পার্কটি আরো নান্দনিক হয়ে উঠতো। ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে জানান ও দর্শনার্থী।

 

বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুজ্জমান শেখ জানান, ঝুলন্ত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কতৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর