• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মেলান্দহে বৃষ্টির পানিতে ফসল তলিয়ে গেছে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২০  

জামালপুরের মেলান্দহে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকশত হেক্টর জমির ফসল। 

 

বৃষ্টির পানিতে শ্যামপুর ইউনিয়নের ১০/১২টি গ্রামের ৬-৭টি নিম্নাঞ্চলের বোর ধান পানির নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এসব নিম্নাঞ্চলের মধ্যে মাস্টার বিল, বালুরচর মালিবাড়ি বিল, সাজুর বিল, হাকিমের বিল, বারেকের বিল, বাউলেরপাড়ার ডোবা এবং টুপকারচরের পশ্চিম পাড়ের ডোবা উল্লেখযোগ্য। 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের ৪নং চর, নবা খাল এবং দশআনি নদীর একমাত্র সংযোগ মুখে বসতবাড়ি, কয়েকটি অপরিকল্পিত পুকুরের পাড় বান্ধার কারণে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টির পানি জলাশয়গুলোতে আটকে ফসল তলিয়ে গেছে।

 

এ ব্যাপারে বজলুল হক বকুল মেম্বারসহ কৃষকরা জানিয়েছেন-পাল্টাপাল্টি করে পুকুর বসতবাড়ি করায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। ইতোপূর্বে পানি প্রবাহ চলমান ছিল। এই বছরই এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই জলাশয়গুলো থেকে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না করলে অল্প বৃষ্টিতেই ফসল নষ্ট হতে থাকবে।

কৃষক ইসব আলীর (৪০) ২০ বিঘা, সাদউদ্দিনের (২৫) ৫ বিঘা, হারুন রশিদের (৪৫) ২ একর জমিসহ অনেকের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এদের মধ্যে কৃষক হারুন রশিদ জানান-আমি কিছু ধান কাটতে পেরেছি। বাকি ধান নষ্ট হতে চলেছে। তাই ক্ষেত ছেড়ে দিয়েছে। গরিব-দুঃখিরা কুড়িয়ে নিয়ে গেছে। ভাটিতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষকারী জরিপ আলী (৩৭) জানান-পানি প্রবাহের জন্য সরকার উদ্যোগ নিলে আমার মাছের প্রজেক্ট ভেঙ্গে ফেলবো।

 

শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাতুজ্জামান সুরুজ মিলিটারি (৬৫) জানান-এই ৬-৭টি জলাশয় মেলান্দহ-ইসলামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে পানি প্রবাহের উদ্যোগ নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

ইউএনও হামিম আল ইয়ামীন জানান-কৃষকের সমস্যার দ্রুত সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান-সরকারি প্রণোদনা ছাড়াও আনুসাঙ্গিক সহায়তা দিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর