• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

যমুনার ভাঙনে বিলীনের পথে দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানির মানচিত্র

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০  

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।  ভাঙ্গনের তীব্রতায় বিগত দুই সপ্তাহে ২৬৫ পরিবারের বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে খোলাবাড়ী গুচ্ছগ্রাম, হাজারী পট্টি, বড়খাল মাঝিপাড়া, ডাকাতিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রাম, হরিণধরা বাঁধসহ বাহাদুরাবাদ নৌথানা। চলতি বর্ষার মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের মানচিত্র বিলীন হতে যাচ্ছে যমুনা নদী গর্ভে।

 

ইউপি চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত বন্যায় যমুনার কড়াল গ্রাসে খোলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, খোলাবাড়ী বাজার ও প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরুতেই খোলাবাড়ী, বড়খাল, হরিণধরা, ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের ২৬৫টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে খোলাবাড়ী গুচ্ছগ্রাম, হাজারী পট্টি, বড়খাল মাঝিপাড়া, ডাকাতিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রাম, হরিণধরা বাধসহ বাহাদুরাবাদ নৌথানা। ২০১৯ সালে ৬ এপ্রিল ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌথানা ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি। ওই সময় নৌথানা থেকে যমুনা নদী ছিল দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে। বর্তমান নৌথানা ভবন থেকে ৫০ গজ দূরে যমুনা নদী। নৌথানা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। নদী ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে চিকাজানী ইউনিয়নের মানচিত্র বিলীন হয়ে যাবে যমুনা নদী গর্ভে।

 

বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবন থেকে যমুনা নদীর দূরুত্ব প্রায় ৫০ গজ। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ করা না হলে এ ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ভবনটি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন জানান, নদী ভাঙ্গনের বিষয় নিয়ে সরকারি দপ্তরগুলোতে অনেকবার অবগত করা হয়েছে। চলতি বছর নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১৪০ মিটার নদীর তীরে নদী ভাঙ্গন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করা হয়েছে। ডাম্পিং করা হলেও খোলাবাড়ী দক্ষিণ এলাকা গুচ্ছগ্রাম, হাজারী পট্টি, বড়খাল মাঝিপাড়া, ডাকাতিয়াপাড়া, গুচ্ছগ্রাম রয়েছে হুমকির মুখে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, খোলাবাড়ী এলাকায় আবারও ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। ভাঙ্গনরোধে খোলাবাড়ী থেকে ফুটানী বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার জিও ব্যাগ ফেলতে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়য়ে পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌ থানা ভাঙ্গনরোধে জরুরীভাবে ২৬ মে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং এর কাজ করা হয়েছে। খোলাবাড়ীর আশেপাশে ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। সেখানে স্থায়ীভাবে কাজ করার জন্য একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর