• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

রিজার্ভে নতুন রেকর্ড, ছাড়াল চার হাজার কোটি ডলার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২০  

বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪ হাজার কোটি (৪০ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভ নতুন এই উচ্চতায় পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।

 

এই রিজার্ভ দিয়ে দেশের ১০ মাসেরও বেশি আমদানি দায় পরিশোধ করা সম্ভব।

 

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি।

 

করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে রিজার্ভে উল্লম্ফন দেখা যায়। গত ৩ জুন রিজার্ভ প্রথম ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। এর পর মাত্র চার মাসে রিজার্ভে যোগ হয় আরো ৬০০ কোটি ডলার।

 

মূলত প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে রিজার্ভ নতুন এই উচ্চতায় পৌঁছেছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকেও কিছু কিছু অর্থ আসতে শুরু করেছে। তবে তার তুলনায় প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ অনেক বেশি।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রফতানি প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমদানি প্রবৃদ্ধি এখন কম। যে কারণে ব্যাংকগুলোর কাছে বিদেশি মুদ্রা উদ্বৃত্ত থাকছে। গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ২৬২ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

 

গত মাসে ২১৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা একক মাস হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এক মাসে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে গত জুলাই মাসে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল আরো বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ শতাংশ প্রণোদনা চালু করার পরই রেমিট্যান্স বাড়ছে।

 

রিজার্ভ বাড়তে থাকায় একটি অংশ লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগের একটি উদ্যোগ নেয়া হলেও তা শুরু হয়নি।

 

এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের অবস্থা ভালো থাকায় বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। এখন রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ করে তা ফলপ্রসূ না হলে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হতে পারে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর