• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সু চিকে দেয়া সম্মাননা ফিরিয়ে নিলো লন্ডন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২০  

রোহিঙ্গাদের গণহত্যা-ধর্ষণের ঘটনায় নিরবতা পালনের পাশাপাশি দেশটির সেনা বাহিনীকে সমর্থণ করার প্রতিবাদে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’কে দেয়া সম্মাননা ফিরিয়ে নিয়েছে লন্ডন।

 

বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় লন্ডন সিটি করপোরেশন (সিএলসি) এ সিদ্ধান্তের খবর জানায়।

 

শহরটির সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে তিন বছর আগে সু চি’কে দেয়া এ সম্মাননা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভোট দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

 

সিএলসি কমিটির প্রধান ডেভিড ওটোন জানান, এ সিদ্ধান্তে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নিন্দা প্রতিফলিত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে অং সান সু চি’র ঘনিষ্ঠতা তাকে দেয়া এ সম্মাননা প্রত্যাহারের সিন্ধান্তকে শক্তিশালী করেছে।

 

২০১৭ সালের মে মাসে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি’কে সম্মাননা দিয়েছিল সিএলসি। এর মাধ্যমে মিয়ানমার নেত্রীর অনেক বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য অহিংস লড়াই এবং মানুষের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে তার অবিচল নিষ্ঠার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল।

 

সে সময় ইউরোপ সফরে থাকাকালীন সু চি লন্ডনে ওই সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং পুরস্কার গ্রহণ করেন। এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এ সম্মাননা অর্জন করেন।

 

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে সেনাচৌকিতে রোহিঙ্গা হামলার অজুহাতে সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠিটির ওপর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর অভিযানে সেখানে ২৪ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হন। হত্যা, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

 

তবে সু চি এর বিপরীতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং গণহত্যার কথা অস্বীকার করে সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পক্ষে সাফাই গেয়ে আসছেন তিনি। এ কারণে তিনি গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের পক্ষে তার সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে পাওয়া প্রায় সমস্ত সম্মাননা হারিয়েছেন।

 

রোহিঙ্গা বিরোধী এ অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এক মামলার শুনানি হয় নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)। শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অং সান সু চির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

 

মামলার শুনানির পর মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করে চার অন্তবর্তী আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রক্ষায় দেশটিকে নির্দেশ দেয় আইসিজে।

 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর