“সংসারের পাশাপাশি সংগঠনকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতেন”
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটা সংসারকে সুন্দর করা যায়, একটা প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর করা যায়, একটা দেশকে সুন্দর করা যায়। চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার চেয়ে বড় আর কিছু হয় না। আমার মা ফজিলাতুননেছা মুজিব সেই দৃষ্টান্তই দেখিয়ে গেছেন।'
তিনি বলেন, 'প্রতিটি কাজে আমার মাকেও দেখেছি বাবার পাশে থেকে থেকে সহযোগিতা করেছেন। কখনও সংসারের কোনও সমস্যা নিয়ে বিরক্ত করেননি বা বলেনওনি। বরং বেশির ভাগ সময়ই তো আমার বাবা কারাগারে ছিলেন। একটানা দুই বছরও তিনি কারাগারের বাইরে থাকেননি। কিন্তু আমার মা যখন কারাগারে দেখা করতে যেতেন, তখন মা নিজেই বলতেন, চিন্তার কিছু নেই। সব কিছু তিনি নিজেই দেখতেন। আমাদের মানুষ করার দায়িত্ব আমার মায়ের হাতেই ছিল। তার পাশাপাশি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নির্দেশনা দেওয়া বা বাইরের অবস্থা জেলখানায় থাকা আব্বাকে জানানো, বাবার নির্দেশনা নিয়ে এসে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া। এই কাজগুলো তিনি খুব দক্ষতার সঙ্গে করতেন।'
তিনি আরও বলেন, 'যেসব নেতারা কারাগারে বন্দি থাকতেন, কার বাড়িতে কী অবস্থা, তাদের বাড়িতে বাজার আছে কিনা, সেখানে সাহায্য করা লাগবে কিনা, কোনও আওয়ামী লীগের কর্মী অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করা ও দেখতে যাওয়া সবই বাবার অবর্তমানে মা করতেন। একদিকে সংসার সামলাতেন, অপর দিকে এই কাজগুলোও করতেন। পাশাপাশি সংগঠনকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতেন। সঠিক সিদ্ধান্তগুলো দিতেন।'
নিজের মা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার বাবা যখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরে এলেন, তখনও কিন্তু আমার মায়ের মধ্যে অহমিকা বোধ ছিল না। তিনি কখনও সরকারি বাসভবনে বসবাস করেননি। কাজের জন্য আমার বাবা সকালে বাড়ি থেকে নাস্তা করে চলে আসতেন। আবার দুপুরে আমার মা নিজের হাতে রান্না করে টিফিন ক্যারিয়ারে পাঠিয়ে দিতেন। রান্নাটা সব সময় নিজের হাতে করতেন। তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, পাকের ঘরে গিয়ে রান্না করবেন, সেই সমস্ত চিন্তা তার কখনও ছিল না। আমার মায়ের হাতের রান্না খুবই সুস্বাদু ছিল। গণভবনে বা সরকারি বাসভবনে থাকেননি। না থাকার কারণটা হচ্ছে, তিনি বলতেন, আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে সরকারি বাসভবন বা শানশওকতে থাকবো না। তারা বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হোক সেটা আমি চাই না। বিলাসিতায় আমরা যেন গা না ভাসাই, সেটার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছি মাটির দিকে তাকিয়ে চলার। অন্তত তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় কে আছে তাকে দেখো। ওপরের দিকে না, তোমার চেয়ে কে ভালো আছে সেটা না, তোমার চেয়ে খারাপ যারা আছে তাদের দিকে দেখো এবং সেটাই উপলব্ধি করো। কখনও নিজের দৈন্যতার কথা বলতেন না। কখনও কোনও চাহিদা ছিল না। নিজে কোনোদিন কিছু চাননি। সব সময় তিনি দিয়ে গেছেন। ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ জারি হওয়ার পর আব্বা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করতেন। এই দুবছর আমার মা সংসারের স্বাদ পেয়েছিলেন। কারণ তখন রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। স্বামীকে কাছে না পাওয়া নিয়েও তার কোনও অনুযোগ ছিল না। এমনকি মৃত্যুর দিন আমার মা জীবন ভিক্ষাও চাননি। তিনি নিজে বাঁচতে চাননি। তিনি সাহসের সঙ্গে সেখানে এ কথাই বলেছিলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করেছো, আমি তার কাছেই যাবো। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মা আমার বাবার একজন উপযুক্ত সাথী হিসেবেই চলে গেছেন।'
সরকার প্রধান বলেন, আজকে তার (বেগম মুজিব) জন্মদিন। সেই জন্মের পর ৩ বছর থেকেই পিতা মাতা সব হারিয়ে সারাটা জীবন শুধু সংগ্রামই করে গেছেন। কষ্টই করে গেছেন। কিন্তু এই দেশের স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতার জন্য তিনি যে কত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন সেটা আমরা জানি। এই দেশ স্বাধীন হবে, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে, এই চাওয়াতেই তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আব্বার যে আদর্শ, সেই আদর্শটা তিনি খুব সঠিকভাবে ধারণ করেছিলেন। আর সেটা ধারণ করেই তিনি নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন। কোনও দিন সংসারের কোনও ব্যাপারে মা-বাবাকে কখনোই কিছু বলেননি, কোনও কিছু চাননি। ফলে আমার বাবা সম্পূর্ণভাবে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েদেরও সেই আর্দশ নিয়েই চলা উচিত।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনাভাইরাসের এই সংকট থেকে দেশকে আমরা অবশ্যই উত্তরণ ঘটাবো। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। সেখানে আমার মায়ের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, লাখো শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।'
প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, 'মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সহযোদ্ধা। বঙ্গমাতা অসাধারণ বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সর্বসংহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।'
উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে নির্মমভাবে নিহত হন।
- আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
- চুক্তি-ভিত্তিক চাকরির সুযোগ দিচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন কি না যেভাবে বুঝবেন !
- গরমে গোড়ালি ফাটলে যা করবেন!
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- এবার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ নিপুণের বিরুদ্ধে
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- শিশুদের খাবার সেরেলাক ও নিডো নিয়ে মিললো ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের লোভে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- আবারও দেশের বাজারে সোনার দামে রেকর্ড
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের টোল মওকুফ
- সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান বাংলাদেশ-নেপালের
- ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- খালেদা জিয়া মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে
- এক রাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন কাম্য নয় : সেনাপ্রধান
- কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেনি, এটাই দুর্ভাগ্য
- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
- দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করার উদ্যোগ নেয়া হবে
- শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে
- বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫৩ জন রিমান্ডে
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থ পেতে বিসিডিপি গঠন করবে সরকার
- ইসলামপুরে গোপনে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি গঠন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ঝালকাঠিতে শিশু হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসি, নারীর যাবজ্জীবন
- স্যামসাং টিভিতে এখন দেখা যাবে টফি’র আকর্ষণীয় কনটেন্ট
- রাজধানীতে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা-যানজটে অসহনীয় ভোগান্তি
- ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ: অ্যান্ড্রয়েডে ম্যাগনেটিক চার্জিং
- ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধে যেভাবে গায়েব কোটি টাকা!
- নাস্তানাবুদ শ্রীলংকা, বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- মেলান্দহ পৌর কাউন্সিলরের মরদেহ চৌদ্দগ্রামে পাওয়া গেছে
- বকশীগঞ্জে এসএসসি ব্যাচ-২০০২ ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল
- ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ: দেশের বাজারে নতুন মাত্রা
- জন্মদিনে ফিফটি হাঁকালেন তামিম, হলেন ম্যাচসেরা
- মেলান্দহ গণহত্যা দিবসে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
- সোনার এত দাম অতীতে কোনোদিন হয়নি
- মেলান্দহ ডা. আলাউদ্দিনের ইন্তেকাল
- বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- দেওয়ানগঞ্জে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটির কমিটি গঠন
- দোল পূর্ণিমা আগামীকাল
- মাদারগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা
- দূর্গম যমুনার চরাঞ্চলে রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি