• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সাদুল্লাপুরে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরের পূর্ব দামোদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিনের (মুক্তা) বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। 

 

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় চত্বরে তদন্ত শুরু করেন জেলা শিক্ষা অফিসের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত  কমিটি। সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সহকারী শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদুর রহমান ও ননী গোপাল চন্দ্র তদন্তে উপস্থিত ছিলেন। 

 

তদন্ত কার্যক্রমের সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয়দের কাছে লিখিত বক্তব্য নেয় তদন্ত কমিটি। এসময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তার পক্ষে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত বক্তব্য জমা দেন। এরআগে, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জহুরুল সর্দার।

 

লিখিত অভিযোগে উল্øেখ করা হয়, গত ২০১৮ সালের শেষে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন নিলুফা ইয়াসমিন (মুক্তা)। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। আবার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও দুপুরের আগেই চলে যান তিনি। গত দুই বছরে তিনি নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিদ্যালয় উন্নয়ন ফান্ডের (মাইনার ক্যাটাগরি) দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কমিটির কাউকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন (মুক্তা) বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করেন। পরে একক সিদ্ধান্তে বিদ্যালয়ের নামমাত্র কাজ করে বেশির ভাগ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বিদ্যালয়ের ক্লাটার স্থানান্তরের পায়তারা করছেন। এ অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে এবং স্থানীয় লোকজনকে বিভিন্ন ভাতার আশ্বাস দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের। এসব বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি বারবার নিষেধ করলেও তা আমলে নেননি তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ করেও নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উল্টো তার দাপটে উত্তেজনা দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে। 

 

এদিকে, তদন্ত কার্যক্রমের সময় বিদ্যালয় চত্বরে অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতি ছাড়াও নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে শ্লোগান দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে তদন্ত কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। যদিও তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়া তদন্তের সময় অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন।

 

তবে এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল্যাহিশ শাফী জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর