• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ঈদে টাঙ্গাইলের অনলাইন বাণিজ্য চাঙ্গা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১  


ফেসবুুকে একটি পেজ খুলে বছরের শুরুতে নিতান্ত শখের বশে পোশাকের ব্যবসা শুরু করেছিলেন পল্লবী পাল। করোনার এই সময়ে গত পাঁচ মাসে বেশ জমে উঠেছে তাঁর অনলাইন ব্যবসা। অনলাইনে অর্ডার পেয়ে ঘরে বসে বিক্রি করছেন শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি ও বাচ্চাদের পোশাক। ব্যবসাটি আর শখের জায়গায় নেই, তিনি ক্রমে একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন। ঈদে তার ব্যবসা এতটা জমজমাট যে, অর্ডার গ্রহণ ও পণ্য ডেলিভারি কাজের জন্য প্রশিক্ষিত বাড়তি জনবল নিয়োগ দিতে হয়েছে।

পল্লবী পালের মতো টাঙ্গাইলে ১০০-২০০ এর মতো ফেসবুক উদ্যোক্তা রয়েছেন। বাড়ছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। চলতি অর্থবছরে টাঙ্গাইলে ই-কমার্সের বাণিজ্যের পরিমাণ হবে প্রায় ১ কোটি টাকা। ঈদ উপলক্ষে চাঙ্গা অনলাইন বাণিজ্য। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এই ব্যবসায় সম্প্রসারণে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে অনলাইনে বাণিজ্যে ভোক্তা স্বার্থে প্রতারণা ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা চূড়ান্ত করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ই-কমার্স বাণিজ্যে এখনই ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে না। এ নিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

জানা গেছে, মহামারী করোনার মধ্যে দেশের অন্যান্য যায়গার মতো টাঙ্গাইলেও অনলাইন বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চলমান লকডাউনের মধ্যে টাঙ্গাইলবাসীর একটি বড় অংশ ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে কেনাকাটা করছেন। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে তৈরিকৃত খাবারও পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনের অর্ডারে। গত এক বছরে অন্য ব্যবসায় বাণিজ্য যখন চাপের মুখে তখন অনলাইন ব্যবসা বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। অনলাইন বানিজ্য সংশ্লিষ্টরা  জানান, ঈদ উপলক্ষে অনলাইন বাণিজ্য এখন চাঙ্গা। বিশেষ করে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে দেশে দ্রুত ই-কমার্স বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হচ্ছে। সরকারের পক্ষ এই ব্যবসায় সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা হবে। তবে বাণিজ্যের নামে আবার প্রতারণা করলে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। এদিকটি বিচেনায় নিয়ে শীঘ্রই ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২১ চূড়ান্ত করা হবে। অনলাইনে পন্য ব্যবসায়ী পল্লবী পাল  বলেন, লকডাউনে এবার অনলাইনে বেচা বিক্রি অনেক ভাল। যারা করোনার ভয়ে বাইরে মার্কেটে যায় না তারাই অনলাইনে পন্য ক্রয় করেন। ইচ্ছে রঙিন অনলাইনের ফেরদৌসী সাথী বলেন, আগে আমার অনলাইনে খুব একটা অর্ডার পেতামনা। ঈদের এক মাস আগে থেকেই প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি। এবারের ঈদে আমি প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করেছি।

স্বপ্নের সন্ধ্যানে অনলাইনের মাহবুবা খান জোতি  জানান, এখন আর দূরের অর্ডার নিচ্ছিনা। হাতে যে অর্ডার গুলো আছে সে গুলোই দেয়া কষ্ট হয়ে পড়েছে। আল্লাহর রহমতে এবার ঈদে আমি খুব খুশি আবার ব্যবসা নিয়ে। অনলাইনে পণ্য ডেলিভারির সময় ইতোমধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন ই-কমার্সের কার্যক্রম বড় ও মাঝারি শহরগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এই সেবা গ্রামাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর