• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সেরে গেছে ওজোন স্তরের সবচেয়ে বড় ক্ষতটি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০  

যে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এ পৃথিবী নিজেকে নিজেই রক্ষা করতে পারে, যার প্রমাণ মিললো আবারো। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই বরফে ঢাকা উত্তর মেরুর আকাশে ওজোন স্তরে ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিলো। পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর ওজোনে এই গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ভয়াবহ আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। কারণ এই গর্তের ফলে সরাসরি হুমকির মুখে পড়তো পৃথিবীবাসী। তবে সেই গর্ত নিজে থেকেই আবার সারিয়ে তুলেছে পৃথিবী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়াটাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর মেরুর আর্কটিক অঞ্চলের আকাশে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সেখানকার পোলার ভর্টেক্স বা মেরু ঘূর্ণাবর্ত অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে অঞ্চলটিতে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরিন ও ব্রোমাইনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতিও বেড়ে যায়, যা ওজোন স্তরকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। স্থিতিশীল মেরু ঘূর্ণাবর্ত ও বিষাক্ত কেমিক্য়ালের কারণেই ওজোন স্তরে বিশাল গর্তটি তৈরি হয়।

 

তবে সম্প্রতি ইইউ’র পক্ষ থেকে কপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস (সিএএমএস) ও কপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) নিশ্চিত করেছে যে, আশঙ্কা সৃষ্টিকারী এই গর্তটি নিজে থেকেই মিলিয়ে গেছে।

 

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তারা বায়ুমণ্ডলের নতুন কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ওজোন স্তরের সেরে ওঠার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

 

সূর্য থেকে আসা আলোক রশ্মির ফলে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়। তবে এই আলোর সঙ্গে সেখান থেকে অতি বেগুনি রশ্মিসহ আরো অনেক ক্ষতিকর পদার্থও পৃথিবীতে চলে আসে, যা মানব জাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর জন্যও মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

 

তবে এই ক্ষতিকর আলোক রশ্মিগুলোকে শোষণ করে নেয় ওজোন স্তর, এছাড়া শুষে নেয় বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডও। এর মাধ্যমে পৃথিবীকে ও পৃথিবীর সব প্রাণকে রক্ষা করে এটি। এ কারণে পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের স্তর সমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয় ওজোন স্তরকে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর