• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

হবিগঞ্জে উৎপাদিত ‘হোয়াইট টি’র ব্যাপক সাড়া

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বাংলাদেশে প্রথমবারের সফল ভাবে উৎপাদন হওয়া ‘হোয়াইট টি’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিদেশি হোয়াইট টির চেয়ে গুণগত মান ও এই চায়ের স্বাধ ভাল হওয়ায় চাহিদা বাড়ছে এই চায়ের। এরই মধ্যে প্রতি কেজি হোয়াইট টি নিলামে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ১০ টাকা দরে। 

 

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বৃন্দাবন চা বাগানে উৎপাদন হওয়া এই চা নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী বাগান কর্তৃপক্ষ। তাই আগামীতে আরো ব্যাপক পরিসরে এই চা উৎপাদনের জন্য ভাবছে বাগান কর্তৃপক্ষসহ উদ্ভাবকরা। 

 

গত ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলের ১৭তম নিলামে তোলা হয় এই হোয়াইট টি। মাত্র ১০ কেজি চা তোলা হয় এই দিন নিলামে। হোয়াইট টি বলার কারণ হলো হোয়াইট টি’র মধ্যে সাদা লোম রয়েছে। এর মূল রঙ সবুজ ও হলুদ রঙের মাঝামাঝি। একে কেউ কেউ ‘সিলভার নিডল হোয়াইট টি’ বা রূপার সুঁইয়ের মতো সাদা চা ও বলে। আর এই হোয়াইট টি তৈরির মূল কারিগর হলেন বৃন্দাবন চা বাগানের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন খান। যিনি দীর্ঘদিন যাবত এই চা তৈরিতে গবেষণা করে অবশেষে সফলতার মুখ দেখেছেন। 

 

বৃন্দাবন চা বাগানের ম্যানেজার ও চা’ এর উদ্ভাবক নাসির উদ্দিন খান বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে তিনি ১০ কেজি হোয়াইট টি তৈরি করেছেন। যার জন্য তিনি দীর্ঘদিন গবেষণার পাশাপাশি পরিশ্রম করেছেন। সফলতা পাওয়ায় আগামী বছর ব্যাপক পরিসরে আরো উৎপাদন করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান এই উদ্ভাবক। 

 

সহকারী ম্যানেজার সাজিদুর রহমান জানান, হোয়াইট টি তৈরির জন্য বিশেষ পাতাগুলো তুলতে হয়। আর এর জন্য আলাদা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিক লাগে। শ্রমিকদের মজুরিও বেশি দিতে হয়।

 

চা গবেষক মাহমুদ হাসান প্রিন্স বলেন, হোয়াইট টির উৎপাদন সত্যিই প্রসংসনীয়। হোয়াইট টি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এর গুণগত মান অত্যন্ত ভাল। 

 

এর আগেও চা শিল্পে নতুন সম্ভাবনা দেখিয়েছে বৃন্দাবন চা বাগান। তাদের তৈরি বিষমুক্ত নিরাপদ ‘গ্রিন টি’ রেকর্ড মূল্যে অর্থাৎ প্রতি কেজি ২ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়। সেসময় ওই বাগান থেকে ১০০ কেজি ‘গ্রিন টি’ উৎপাদন করা হয়। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর