• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

হিজাব খুলতে বলায় এয়ারপোর্ট থেকেই ফিরে গেলেন এই পর্দাশীন নারী

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

এই মুসলিম নারী তিউনিসিয়া থেকে বেলজিয়ামে এসে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত গিয়েছেন। কারন এয়ারপোর্টে তাঁকে নেকাব খুলার জন্যে বলা হয়েছিল, আর এই পর্দানশিল নারী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান। শুধু তাই নয়, ব্রাসেলস এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ এই নারীকে আলাদা কোন রুমে নিয়ে নারী কর্মকর্তা দিয়ে চেক করতে অস্বীকৃতি জানান ।

 

পর্দানশিল এই নারীও জনসম্মুখে এবং কোন পুরুষের সামনে নেকাব খুলতে ইচ্ছুক নন, তাই উনি বেলজিয়ামে প্রবেশ না করে ব্রাসেলস এয়ারপোর্ট থেকেই আবার তিউনিসিয়ায় ফিরে যান ।সংখ্যাগরিষ্ট খৃস্টান দেশের একজন সংখ্যালঘু মুসলিম নারী হওয়ার পরও পর্দার প্রতি তাঁর সম্মান ও ধর্মভীরুতায় সত্যি মুগ্ধ । অথচ আজ মুসলিম দেশের অধিকাংশ নারীরাই পর্দার বিধান মেনে নিতে নারাজ ।

 

আমাদের দেশের নারী সমাজ পর্দার গুরুত্ব শিক্ষা নিতে পারে এই ড্যানিশ নারীর কাছ থেকে ।

 

সুত্র- আল জাজিরা ।

 

আরো সংবাদ

 

মহানবী সা. এর জীবনী পড়ে ব্রিটিশ তরুণী ‘নাতাশার’ ইসলাম গ্রহণ !ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে মানব-প্রকৃতির সঙ্গে এ ধর্মের সঙ্গতিসহ নানা গুণ ও মূল্যবোধ প্রতিপালনকারী এই মহান ধর্মের পরিপূর্ণতা সম্পর্কে অবহিত হয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন অনেক অমুসলিম এবং তারা গ্রহণ করছেন এই অকৃত্রিম ধর্ম।

 

ব্রিটিশ নও-মুসলিম মিসেস ‘নাতাশা’ হচ্ছেন এমনই এক সৌভাগ্যবানদের একজন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন: ‘১২ বছর বয়স থেকেই আত্মিক ও ধর্মীয় বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতাম।

 

আমার ধর্ম বিশ্বাস ছিল কেবল এটাই যে আমি আল্লাহ বা ¯্রস্টার প্রতি বিশ্বাসী ও ঈসা মাসিহ মানবজাতির ত্রাণকর্তা। যতই বড় হচ্ছিলাম ততই এসব বিষয়ে বেশি পড়াশোনা করছিলাম।

 

বিভিন্ন উৎস থেকে পড়াশোনা করতে গিয়ে একবার এটা জানতে পারি যে, ঈসা (আ.) খোদা নন, বরং আল্লাহর একজন নবী এবং তারপরেও একজন নবী এসেছেন এবং সেই নবী আসার সুসংবাদ খোদ ঈসা (আ.) ই দিয়ে গেছেন। তাই ঈসা (আ.) এর পর যে নবী এসেছেন সে বিষয়ে গবেষণা করতে উদ্যোগী হলাম।

 

আর এই গবেষণাই আমাকে মুসলমানে পরিণত করেছে।’ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বয়সে তরুণ থাকা অবস্থায় একজন খ্রিস্টান পাদ্রির সাক্ষাতের ঘটনাও দৃষ্টি আকৃষ্ট করে নাতাশার।

 

ইতিহাসে এসেছে, তরুণ বয়সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চাচা আবু তালিব (রা.)-র সঙ্গে সিরিয়ার দিকে গিয়েছিলেন। তাঁরা এক জায়গায় বিশ্রামের জন্য থেমেছিলেন। সেই এলাকায় থাকতেন ‘বুহুইরা’ নামের এক পাদ্রি। এই পাদ্রির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় ঘটে। বুহুইরা ছিলেন খাঁটি খ্রিস্টান ও জ্ঞানী।

 

বুহুইরা কুরাইশ কাফেলায় বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নুরানি ও ভাবুক প্রকৃতির চেহারা দেখে তাঁর দিকে যান ও কয়েকটি প্রশ্ন করার পর বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাঁধ দেখানোর অনুরোধ করেন।

 

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাঁধের মধ্যে বিশেষ চিহ্নের ওপর নজর পড়তেই তিনি বেশ আবেগ বা উত্তেজনা নিয়ে বলে উঠলেন: হ্যাঁ, এটাই তো সেই চিহ্ন যার বর্ণনা আমাদের ধর্মগ্রন্থে নিখুঁতভাবে এসেছে। এরপর বুহুইরা সবিস্ময়ে প্রশ্ন করেন আবু তালিব (রা.)-কে। এই তরুণ কে?

 

আবু তালিব বললেন, আমার সন্তান। বুহুইরা বললেন, না, না, এই যুবকের পিতা তো বেঁচে থাকার কথা নয়! আবু তালিব হতবাকের সুরে বললেন, আপনি কিভাবে জানলেন? হ্যাঁ, সে আমার ভাতিজা। তাঁর পিতা তাঁর জন্মের আগেই মারা গেছেন।

 

বুহুইরা বললেন, ‘এই শিশুর ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল। ইনি হচ্ছেন সেই নবী যাঁর নাম ও যাঁর বাবার এবং দাদার নাম ধর্মীয় বই-পুস্তকে পড়েছি। ইনিই হলেন প্রতিশ্রুত শেষ নবী। এই নবী আসারই সুসংবাদ দিয়ে গেছেন ঈসা (আ.)।’ এই কাহিনী নাতাশাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

 

এরপর তিনি ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে জানার জন্য আরো বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিশ্বনবী (সা.)-র অনুপম চরিত্র ও গুণাবলীও নাতাশাকে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট করে।

 

নাতাশার কাছে এটা স্পষ্ট হয় যে মহানবী বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যক্তিত্ব এত বেশি রহমত ও দয়ায় পরিপূর্ণ যে এ জন্যই মহান আল্লাহ তাঁকে ‘বিশ্ববাসীর জন্য রহমত’ বলে উল্লেখ করেছেন।

 

মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দয়ার ক্ষেত্রে তিনি সব মহামানবকে ছাড়িয়ে গেছেন। বিশ্বনবী বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় মুসলমানদেরকে পরস্পরের সঙ্গে ও এমনকি অমুসলমানদের সাথেও আচার-আচরণে দয়ার্দ্র এবং নমনীয় হতে পরামর্শ দিয়েছেন।

 

আসলে বিশ্বনবী বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দয়ার্দ্র ও বিন¤্র আচরণই ইসলামের প্রতি অমুসলমানদের আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্বনবী বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুক্তি ও সংলাপের ভিত্তিতে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানাতেন।

 

এভাবেই তিনি মানুষের পবিত্র প্রকৃতি বা বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতেন। এমনকি মহানবী বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যান্য ঐশী ধর্মের অনুসারীদেরকে বলেছেন: আসুন আমরা অভিন্ন এক বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছি।

 

আর এই অভিন্ন বিষয়টি হল, এক আল্লাহর ইবাদত যা মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সহমর্মিতা সৃষ্টি করে। আর এইসব বাস্তবতা ইসলামের প্রতি নাতাশার আগ্রহকে ক্রমেই বাড়িয়ে তোলে এবং তিনি ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা ও পড়াশোনার পাশাপাশি মুসলিম সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: ‘

 

ঘটনাক্রমে ওই সময়টা ছিল পবিত্র রমজান মাস। এ সময় মুসলমানরা ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখেন এবং আল্লাহকে স্মরণ করে মন ও আত্মাকে নিস্কলুস ও পবিত্র করেন। আর আমিও একজন মুসলিম বন্ধুর আমন্ত্রণে তার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দেই।

 

এই মাহফিল ছিল পবিত্রতার এক বিশেষ আনন্দে ভরপুর। প্রথমে উপস্থিত মুসলমানরা সবাই একসাথে নামাজে দাঁড়ালেন। নামাজের পর সবাই একসঙ্গে উৎফুল্ল চিত্তে ইফতারির দস্তরখানের পাশে বসলেন। কত যে পবিত্র-আনন্দ ও আন্তরিকতার বন্যা ছড়িয়ে পড়েছিল!

 

তা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। দস্তরখানে ইফতার-সামগ্রীও ছিল সাদামাটা এবং সেসব বিশেষ ভঙ্গিতে সাজানো হয়েছিল। খোরমা, হালুয়া, চা ও সুপ ছিল ইফতারের কিছু আইটেম।

 

মুসলমানরা এমন রহমতের মাস দান করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন ইফতারের সময় এবং এরপর নিজের ও অন্যান্য মুসলমানদের জন্য এবং শান্তির জন্য দোয়া করছিলেন।’

 

রমজানে মুসলমানদের পবিত্র অনুভূতি ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ নাতাশা আরো বলেন, ‘ সেই ইফতার মাহফিলে মুসলমানরা একে-অপরকে এমনভাবে সহায়তা করছিলেন যে মনে হচ্ছিল যেন কেউই মেজবান বা নিমন্ত্রণকারী নন। মনে হচ্ছিল যেন সবাই একই পরিবারের সদস্য। তারা সবাই আমার সঙ্গে পারিবারিক বন্ধুর মতই আচরণ করছিলেন।

 

ইফতারের পর সবাই পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল হলেন। এরপর পরস্পরের সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা ও নানা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর্ব অনুষ্ঠিত হয়রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নতমানের ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ ফেলে রাখার জন্য নয়, ব্যবহারের জন্য কেনা হয়েছে জানিয়েছে তুরস্ক।

 

দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদফতরের প্রধান গতকাল শনিবার এ কথা জানান।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের বৈঠক অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পরই এমন মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদফতরের প্রধান ইসমাইল দেমির।

 

ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান পার্থক্য কাটিয়ে উঠতে বুধবার ওয়াশিংটনে এরদোগান ও ট্রাম্প বৈঠক করেছেন। আলোচনায় তুরস্কের এস-৪০০ কেনার বিষয়সহ সিরিয়া নীতি ও আঙ্কারার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি স্থান পায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়ার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের গোপনীয়তা নষ্ট করবে।

 

রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি প্রত্যাহার না করলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আঙ্কারার ওপর অবরোধের হুমকি দেয়া হয়। পাশাপাশি তুরস্কের সাথে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিও বাতিলের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। ন্যাটো জোটের মিত্র হিসেবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের উৎপাদন অংশীদার তুরস্ক আগেই জানিয়েছে তারা রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি প্রত্যাহার করবে না। এত কিছুর পরও এখনো তুরস্কের ওপর কোনো অবরোধ আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

 

সিএনএন তুর্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসমাইল দেমির বলেন, কোনো দেশের পক্ষে এ জাতীয় ব্যবস্থা কেবল ফেলে রাখার জন্য ক্রয় করা যৌক্তিক নয়।

 

তিনি আরো বলেন, আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটন বিষয়টি সমাধান করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত আঙ্কারা এবং এ বিষয়ে উভয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেন দেমির।

 

দেমির বলেন, আমরা এত অর্থ দিয়ে প্রয়োজনের জন্য কেনা এমন একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) ইচ্ছায় ব্যবহার করব না, বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা রাশিয়া ও আমেরিকার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করেছি। আমাদের মধ্যে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলোকে আমাদের সম্মান করতে হবে।

 

আরো সংবাদ

 

বারাক ওবামা কন্যা মালিয়া ওবামাকে বিয়ে করতে চাওয়া কেনীয় উকিল ইসলাম গ্রহণ করলেন

 

কেনিয়ার এই উকিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কন্যা মালিয়া ওবামাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তবে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে নজির সৃষ্টি করলেন। এটিই তাঁর ইসলামের জন্য দুর্দান্ত ভ্রমণ।

 

কেনিয়ার এই আইনজীবি কয়েক বছর আগে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার প্রথম জন্মগ্রহণকারী কন্যা মালিয়াকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

 

মালিয়া ওবামাকে 50 টি গরু, 70 টি ভেড়া এবং 30 টি ছাগল উপহার হিসাবে ঘোষণা করার পরে বিশ্বব্যাপী শিরোনামে ছড়িয়ে পড়া ফেলিক্স কিপ্রোনো মাতাগেই বলেছেন, ২০১২ সালে এক মহিলা বন্ধু ইসলামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরে তিনি খ্রিস্টধর্মকে এড়িয়ে গেছেন।

 

“আমার মহিলা বন্ধু আমাকে ধর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরে আমি ২০১২ সালে জামিয়া মসজিদে ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমি তখন থেকে একজন মুসলিম”, তিনি সংবাদসংস্থা সিটিজেন ডিজিটালকে বলেন।

 

“ভদ্রমহিলার মন ভাল ছিল এবং তিনি আমাকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে ভ্রাতৃত্ববোধকে গ্রহণ করে, তাই আমি ধর্মান্তরের ধারণাটি গ্রহণ করেছিলাম,” শিক্ষিত বন্ধুটি বলেছিলেন।

 

উকিল আরও জানান, তাওহীদ ক্লাস করতে তাকে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে, যা তিনি বলেন যে, প্রকাশ্যে তাঁর ধর্মান্তরের কথা ঘোষণা করা থেকে বিরত রেখেছিল।

 

কিপ্রোনো আরও বলেন, “আমি ২০১২ সাল থেকে তাওহিদ ক্লাস গ্রহণ করছি এবং পড়াশোনা শেষ করার আগে আমার ইসলামে রূপান্তর সম্পর্কে কথা বলতে চাইনি। ক্লাস শেষ করতে এখন আমার তিন মাসেরও কম সময় আছে, আমি সাহস করে আমার সত্য ধর্মটি প্রকাশ করতে পারি”।

 

তাওহীদ এমন একটি ইসলামের মতবাদ যা আল্লাহর একতা ও স্বতন্ত্রতাটিকে বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও রক্ষাকারী হিসাবে ঘোষণা করে।

 

কিপ্রোনো বলেছেন যে তিনি একটি ইসলামী নাম অর্জন করেছেন: আদনান। মধ্য প্রাচ্যের নাম ‘কুরাইশ গোত্র’ থেকে উদ্ভূত; হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) যে গোত্রের লোক ছিলেন, তাদের মধ্যে একটি ছিল।

 

“আমার ইসলামিক নাম আদনান এবং আমি ধর্মীয় নেতাদের কাছ থেকে যে রূপান্তর সনদ অর্জন করেছি তাতে আমার চারটি নামের মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে,” তিনি বলেছিলেন।

 

পবিত্র রমজান মাসে তিনি রোজা রাখছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী স্বীকারোক্তির জবাব দিয়ে যোগ করেন যে তিনি কুরআন অধ্যয়ন করছেন।

 

“আমি সর্বদা রোজা রেখেছি যেহেতু এটি আমার ধর্মের প্রয়োজনীয়তা, এবং আমি কখনই রোজা ছাড়ি না। আমি মুসলিম হিসাবে আমার জীবনের আরও ভাল অংশের জন্য কুরআন অধ্যয়ন করেছি, ”।

 

এভাবেই আল্লাহ অন্ধকার থেকে বের করে আনেন যাকে তিনি সত্যের দিকে পরিচালিত করতে চান।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর