• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

৩ ইবাদতের বিশেষ সুযোগ রয়েছে শাওয়াল মাসে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০  

রমজান বিদায় নিয়ে পবিত্র শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর পালন করার পর পরই আমাদের সামনে তিনটি ইবাদতের বিশেষ সুযোগ এসেছে। একই সঙ্গে শাওয়ালের ৬টি সিয়াম, আইয়্যামে বীদ এর সিয়াম, সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম!!!

৬ জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ১১জুন (১৮ শাওয়াল) = ৬ দিন, শাওয়ালের ৬ রোজা।

 

৬ জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ৮জুন (১৫ শাওয়াল) = ৩ দিন, আইয়্যামে বীদের রোজা (আরবি মাসের মধ্য বেজোড় রোজা)। 

 

৮ জুন (১৫ শাওয়াল) ও ১১জুন (১৮ শাওয়াল) = ২দিন, সোম ও বৃহস্পতিবারের (সাপ্তাহিক) রোজা।

 

উল্লেখ্য, নফল দিয়ে কাযা বা কাযা দিয়ে নফল আদায় হবে না।

 

শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়াম: 

৬ জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ১১জুন (১৮ শাওয়াল) = ৬ দিন। শাওয়ালের ৬ সিয়াম।

 

ইবাদতের জগতে সলাতের পড়েই সিয়ামের গুরুত্ব। সব ইবাদতের জন্য সওয়াব নির্দিষ্ট। একমাত্র সিয়ামের সওয়াব আল্লাহ সুবাহানুতায়ালা নিজে দেবেন। রমাজানের সিয়াম শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামনে শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়ামের মাধ্যমে সারা বছর সিয়াম পালনের সুযোগ এসেছে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবু আইয়ুব (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমাজানের সিয়াম রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখল সে যেন গোটা বছর সিয়াম রাখল।’ (সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ী ও সুনানে ইবনে মাজাহ)।

 

শাওয়ালের ৬ সিয়াম ধারাবাহিকভাবে অথবা বিরতি দিয়েও রাখা যাবে। কারো যদি রমাজানের সিয়াম কাযা হয়ে থাকে, তবে প্রথমে তা আদায় করে নেবে- এটা উত্তম। সম্ভব না হলে শাওয়ালের রোজা রাখবে, পরে কাজা আদায় করবে। যারা পবিত্র রমাজানের যথাযথ কদর করেননি তাদের উচিত এখনই আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহ তায়ালার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া।

 

আইয়্যামে বীদ (আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ):

৬ জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ৮জুন (১৫ শাওয়াল) = আইয়্যামে বীদের সিয়াম।

 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ীতে অবস্থানকালীন অবস্থায় এবং সফরকালীন অবস্থায়, কখনোই আইয়্যামে বীদের সিয়াম ছাড়তেন না।’ (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নম্বর ২৩৪৫)।

 

ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম রাখার জন্য আদেশ করতেন।’ (আবু দাউদ: ২৪৪৯, নাসায়ী: ২৪৩২)।

 

সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম:

৮ জুন (১৫ শাওয়াল) ও ১১জুন (১৮ শাওয়াল) = সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম।

 

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করতেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নম্বর ২৩৬৩)।

 

আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমল পেশ করা হয়। সুতরাং, আমার আমলসমূহ যেন সিয়াম পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়। (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৭৪৭)।

 

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুলিম উম্মাকে শাওয়ালের ৬ রোজার সঙ্গে সঙ্গে সোম ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়্যামে বীদের রোজগুলো রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর