• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

৩৫০ প্রজাতির ফুল-ফলের গাছ নিয়ে বকশীগঞ্জ ইউএনও’র ছাঁদ বাগান

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

শহরগুলোতে ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতায় হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার সবুজ পরিবেশ। কিন্তু বাংলার মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। তাই শৌখিন মানুষেরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় নিজ নিজ বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান।

 

জানা গেছে, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ফুল-ফলের বাগান করা হয়েছে। ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা’র নিজস্ব পরিকল্পনায় পরিত্যক্ত জায়গায় তৈরী ছাঁদ বাগানে স্থান পেয়েছে দেশি বিদেশি প্রায় ৩৫০ প্রজাতির ফল ও ফুল গাছ।

 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মুসান্ডা, ড্রাগন, থাই পেয়ারা, দার্জিলিং এর কমলা, চায়না কমলা, জারবেরা, ক্যালেন্ডুলা, ডায়ান্থাস, গ্লাডিওলাস, মাল্টা, লেটুস, ক্রিসমাস ট্রি, ক্যাপসিকাম। দেশি ফুলের মধ্যে রয়েছে চন্দ্র মল্লিকা, গোলাপ, গাঁদা, জুঁই, বাগানবিলাস, রঙ্গনসহ বাহারি ফুলের গাছসহ দেশীয় ফলের মধ্যে জাম্বুরা, আমড়া, বড়ই, কমলা, সফেদা, সীডলেস লেবু এরই মধ্যে ফল দিতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি উন্নত প্রজাতির আম গাছও ঠাঁই পেয়েছে ইউএনও’র ছাদ বাগানে। যাতে এরই মধ্যে মুকুল আসতে শুরু করেছে।

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ইউএনও মুনমুন জাহান লিজার এ ছাদ বাগানে দেশি বিদেশি প্রায় ৩৫০ প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ রয়েছে। কিছু ওষুধি গাছও রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সবজি ও দেশের বাইরে থাকা আনা বেশ কিছু ফুল ও ফলের গাছ। 

 

রাজস্ব খাত ও নিজের ব্যক্তিগত টাকায় এসব বাগান করেছেন বলে জানান ইউএনও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব গাছের চারাও তিনি সংগ্রহ করেছেন। সারাদিন দাফতরিক দায়িত্ব পালন শেষে নিজ সন্তানের মতোই এসব গাছের পরিচর্যা করছেন তিনি। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস ও উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর আজাদ।

 

ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে জন্ম নেয়া মুনমুন জাহান লিজা গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনও হিসেবে বকশীগঞ্জ উপজেলায় যোগ দেন। এর আগে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

বকশীগঞ্জে যোগদানের পর সেবা নিতে আসা নারীদের জন্য নামাজ খানা নূর-ই-জান্নাহ ও ওয়াশব্লক নির্মাণের পাশাপাশি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। পরে তা বাস্তবায়নও করেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তার দফতরে সেবা নিতে আসা নারীদের জন্য এ ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারটি উন্মুক্ত। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর