লাভজনক ড্রাগন চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার চাষি
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
কয়েক বছর আগেও ড্রাগন ফল সম্পর্কে মানুষের খুব একটা ধারণা ছিল না। বিদেশী ফল হিসেবেই এটি বেশি পরিচিত ছিলো।জেলায় ু বড় ফলের দোকানগুলোতে মাঝে মধ্যে দেখা যেত এ ফলটি। দামও ছিল নাগালের বাইরে । কিন্তু, বর্তমানে ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক হওয়া এ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে চাষিরা। এখন এ ফল ছোট-বড় দোকান, কোন কোন গলির মুখে ফলের দোকানে, এমনকি ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের কাছেও মিলছে ড্রাগন ফল। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু চাষি, অধিক মুনাফা লাভের আশায় ভারতের অনুমোদনহীন ড. ডন ড্রাগন টনিক ব্যবহার করে অধিক ওজনের ফল উৎপাদন করছে। যা একেবারেই স্বাদহীন। ফলে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ফলে যার ফলশ্রুতিতে, ড্রাগন ফল চাষিরা মনে করছেন, অচিরেই এ ফল চাষে ধ্বস নামার আশঙ্কায় রয়েছে। অন্যান্য ফল চাষ থেকে লাভজনক বেশি হওয়ায় চাষিরা ধীরে ধীরে ঝুঁকছে ড্রাগন ফল চাষে। অন্যান্য ফল চাষের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় ধীরে ধীরে কৃষকরা এ ড্রাগন চাষের বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু চাষি ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে কিছু চারা এনে বাংলাদেশে ফলটির চাষ শুরু করেছিল ২০১০ সালের দিকে । চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত বাউ ড্রাগন-১, বাউ ড্রাগন-২, বারি ড্রাগন-১, পিংক ড্রাগন, ভেলভেট ড্রাগন ও ইয়োলো ড্রাগন ফলের চাষ হয়ে থাকে। বাউ ড্রাগন-১-এর ভেতরের অংশ সাদা আর ওপরের অংশ লাল রঙের হয়ে থাকে। বাউ ড্রাগন-২ ও বারি ড্রাগন-১-এর বাইরে ও ভেতরে লাল। গোলাপি ড্রাগনের ভেতরে ও বাইরে গোলাপি। ভেলভেট ড্রাগনের ভেতরে ও বাইরে গাঢ় লাল হয় এবং হলুদ ড্রাগনের ভেতরে সাদা আর বাইরে হলুদ। গ্রোথ হরমোন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভারতের অনুমোদনহীন ড. ডন ড্রাগন টনিক ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে সরকারের অনুমোদিত কিছু গ্রোথ হরমোন আছে,পরিমিত মাত্রায় সেটা আমরা চাষিদের ব্যবহার করতে বলি। অনেক চাষির সাথে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, এ হরমোনে ফলে আমাদের ফল মোটা হচ্ছে তাতে আমরা লাভবান হচ্ছি। তিনি আরো জানান, গত মৌসুমে জেলায় ৮৭ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হয়েছিল। এ বছরের চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বমোট চারটি উপজেলায় ড্রাগনের চাষ হয়েছে ২৬৭ হেক্টর। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৫ হেক্টর। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫ হেক্টর। দামুড়হুদা উপজেলায় ১০ হেক্টর এবং জীবননগর উপজেলায় ২৪১ হেক্টর। যার ফলশ্রুতিতে দেখা যাচ্ছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সবচেয়ে বেশি ড্রাগনের চাষ হয় জীবননগর উপজেলায়। এ উপজেলায় ড্রাগন চাষে অনেক চাষিরা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। ড্রাগন চাষ লাভজনক হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ ফল চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। প্রকৃত চাষি না হওয়ায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা ড্রাগন ফলে ভারতের অনুমোদনহীন ড.ডন ড্রাগন টনিক ব্যবহার করছেন। এতে ড্রাগন ফলের আকার ও ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে ফলের রঙ ও পরিবর্তন হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে পাকানো ড্রাগন ফলের কালার আকর্ষণীয় লাল রঙের হয়। আর টনিক ব্যবহৃত ফলের রঙ হচ্ছে লাল-সবুজ কালারের হয়। টনিক ব্যবহৃত ফলে স্বাভাবিক স্বাদ থাকছে না। ফলে ক্রেতারা এ ফল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম সাইফুল্লাহ রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ড্রাগন ফলে প্রচুর পটাশিয়াম, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে। এছাড়া এর বীজে ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। এটা শরীরের দুূষিত পদার্থ বের করে দিতে সহযোগিতা করে।কিন্তু‘ কিছু ড্রাগন ব্যবসায়ী তাদের নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য, সুন্দর ড্রাগন ফলে ইন্ডিয়ান নিষিদ্ধ টক্সিন নামক ফলে ইস্রে করছে। যার কারণে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ এ ফল থেকে ক্ষতিগ্রস্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গহেরপুর গ্রামের ড্রাগন চাষি রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে ড্রাগন গাছে ফুল আসা শুরু হয়। অক্টোবর পর্যন্ত ফুল আসে। আর মে মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফল কাটা হয়। শীতের সময়ে সাধারণত ড্রাগন গাছে ফল হয় না। সাধারণত প্রতি শতক জমিতে সাতটি পিলার থাকে। প্রতি পিলার থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ২০ কেজি ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়। প্রতি পিলারে চারটি করে গাছ থাকে। এছাড়া প্রতি বছর সাত-আটটি ধাপে ড্রাগন ফল বিক্রি করা যায় । প্রথমদিকে ১৫০-২০০ টাকা দাম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। শেষ দিকে প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ড্রাগন ফলে স্প্রে করা ইন্ডিয়ান নিষিদ্ধ টক্সিন নামক কেমিক্যালের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু স্বার্থন্বেষী মহল ইউটিউবে অথবা ব্যক্তিগত মোবাইলে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু না। আমরা সরকার অনুমোদিত গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করি এতে আমরা লাভবান হচ্ছি। এ ওষুধে কোন প্রকার ক্ষতিকারক কিছু নেই।
- সিভিল অ্যাভিয়েশনের শূন্যপদ পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ
- এমভি আবদুল্লাহর নাবিক-পরিবারে ঈদের আনন্দ
- থানচি-রুমা সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ : হাইকোর্ট
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ : হাইকোর্ট
- দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- অবশেষে কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ
- বজ্রপাত প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ফ্রান্স
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় আনতে হবে: স্পিকার
- চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম চান সিটি মেয়র
- হায়দার আকবর খান রনোর দাফন সম্পন্ন
- নারী কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করবে সরকার
- স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে ফ্রান্স
- কুতুবদিয়ায় পৌঁছাল এমভি আবদুল্লাহ
- চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের সময়কাল আগামী ১৬ মে থেকে শুরু
- সাম্প্রদায়িকতা-কূপমন্ডুকতা রুখতে দরকার সাংস্কৃতিক গণজাগরণ
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান
- নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ
- সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
- স্বপ্নজয়ী মা সম্মাননা পেলেন ১১ জন
- প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ তৈরিতে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে
- মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে বন্দীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না
- পাবনায় জটিল রোগে আক্রান্তদের মাঝে চেক বিতরণ
- কাস্টম গুদামের সোনা চুরি : প্রতিবেদন ৩০ জুন
- গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন
- চাঁদপুরের দুই উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- বাংলাদেশে বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স
- জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছর কারাদন্ড
- পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে কৃষিকে আধুনিকায়ণ বিষয়ে শরীয়তপুরে মাঠ দিবস
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর
- অপরিচিতদের সঙ্গেও চ্যাটিংয়ে সুযোগ দেবে হোয়াটসঅ্যাপ
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
- এপ্রিলেই প্রকাশ হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল!
- জামালপুরে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে শীর্ষে স্যামসাং
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- জামালপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- ভারত সিরিজের জন্য শক্তিশালী বাংলাদেশ দল ঘোষণা