• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

নন্দীগ্রামে নলকূপ জেরে সংঘর্ষের আশঙ্কা, চাষাবাদ ব্যহত

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাদলাশন মাঠে আবাদি জমিতে পানি সেচের গভীর নলকূপ কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

পানি সেচ জটিলতায় বাদলাশন মৌজার প্রায় ২৪০ বিঘা জমির চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। মাঠে যাদের জমি নেই এমন ১০জনকে অন্তর্ভূক্ত করে অবৈধভাবে কমিটি গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গভীর নলকূপ পরিচালনার চেষ্টা এবং উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এনামুল হকের বিরুদ্ধে গেটের তালা ভেঙে নূলকূপ দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার বাদলাশন গভীর নলকূপ (বি-৫৪) অপারেটর আবুল কালাম আজাদ। তিনি নলকূপ সংক্রান্তে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি বিএডিসি বগুড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর অভিযোগ করেন। নলকূপ সংশ্লিষ্ট দপ্তর হস্তক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নলকূপ সংক্রান্ত বিরোধের অবসান হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে বিরোধীপক্ষ। এনিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। 
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তফসীলভূক্ত ও ক্রয়-দলিলভূক্ত আবাদি জমি বাদলাশন মাঠে না থাকলেও কমিটিতে কৃষকের বাইরের ১০জনকে অন্তর্ভূক্ত করে ২১ সদস্যের অবৈধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। ওই ব্যক্তিরা হলেন- শ্রমিকলীগ নেতা এনামুল হক ফকির, সাইফুল প্রামানিক, গোলাম আজম, আরিফুল ইসলাম, মোর্শিদুল ইসলাম, মাহবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, কাওছার আলী, হাফিজুর রহমান ও রেজাউল করিম। 
পৃথক অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদলাশন মৌজায় গভীর নলকূপ (বি-৫৪) দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ১৪জন সদস্য নিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছেন অপারেটরের দায়িত্বে থাকা আবুল কালাম আজাদ। নলকূপের পানি সেচ বাবদ ৮৫ হাজার টাকা, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জামানত রয়েছে ২৫ হাজার টাকা এবং সম্প্রতি নলকূপে নতুন করে পাইপ লাইনের কাজে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরমাঝেই হঠাতই গত ১৫ ফেব্রæয়ারি পোস্ট অফিসের ডাকের মাধ্যমে নলকূপের অপারেটর পরিবর্তনের চিঠি পান আবুল কালাম আজাদ। মাঠে জমি নেই এবং কৃষক নন এমন ১০জন বহিরাগতদের সদস্য অন্তর্ভূক্তি ঠেকাতে নতুন কমিটি গঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন ওই অপারেটর। দুইদিন পরই তালা ভেঙে নলকূপের দখল নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। 
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এনামুল হক বলেন, মাঠে জমি থাকার দরকার কি, নলকূপের কাজে পরিশ্রমের লোক হিসেবে কয়েকজন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। তালা ভেঙে নলকূপ দখল করা হয়নি। 
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মাঠে যাদের জমি নেই তারা কমিটির সদস্য অন্তভূক্ত হয়ে থাকলে এবং তালা ভেঙে নলকূপ দখল নেওয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর