• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

টাঙ্গাইলে ১৮টি ইউপি নির্বাচনে যারা জয়ী

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২২  

টাঙ্গাইলে ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১১টিতে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া ৫টিতে স্বতন্ত্র ও ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে মধুপুরে ৬টি ইউনিয়নের ৫টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী, মির্জাপুরে ৬টি ইউনিয়নের ৩ টিতে আওয়ামী লীগ, সখীপুর ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, বাসাইলে একটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র, নাগরপুরে স্বতন্ত্র ও দেলদুয়ারে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব ফলাফল পাওয়া যায়।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ এবং ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

কুড়াগাছা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক সরকার (নৌকা) ৫ হাজার ৮৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম (আনারস) পান ৩ হাজার ৪৭৯ ভোট।

আউশনারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা (নৌকা) ৪ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস ছালাম (আনারস) পান ৪ হাজার ১৪ ভোট।

শোলাকুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইয়াকুব আলী (নৌকা) পান ৬ হাজার ৭০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন (টেলিফোন) পান ৩ হাজার ২৬ ভোট। বেরীবাইদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুলহাস উদ্দিন (নৌকা) ৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান (আনারস) পান ২ হাজার ১৫১ ভোট।

মহিষমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: মহিউদ্দিন মহির (আনারস) ৯ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মোতালেব (নৌকা) পান ৪ হাজার ৭৩৮ ভোট।

কুড়ালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফজলুল হক (নৌকা) জয়লাভ করেছেন।

মির্জাপুরে নির্বাচনে ৩ ইউনিয়নে নৌকা ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

বহুরিয়া ইউনিয়নে আবু সাইদ ছাদু (নৌকা) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পান ৬ হাজার ৬শ’ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস ছামাদ (ঘোড়া) পান ৪ হাজার ৫৩২ ভোট।

আজগানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল কাদের (নৌকা) ১০ হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পান ৫ হাজার ৪৫৪।

ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজী আব্দুর রউফ (নৌকা) ৩ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন তালুকদার (মোটরসাইকেল) পান ৩ হাজার ৪৭৬ ভোট।

তরফপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আজিজ রেজা (মোটরসাইকেল) ৫ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফুর রহমান (চশমা) পান ৫ হাজার ৫২৩ ভোট।

ভাওড়া ইউনিয়নে মাসুদুর রহমান (ঘোড়া) ৪ হাজার ৫৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাহিদুর রহমান খান (আনারস) পান ৩ হাজার ৭৬০ ভোট।

লতিফপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন রনি (মোটরসাইকেল) ৪ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোশারফ হোসেন (আনারস) পান ৩৭২৪ ভোট।

সখীপুর উপজেলা দুইটি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনছার আলী আসিফ (নৌকা) পান ৮ হাজার ২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন (আনারস) পান ৫ হাজার ৫৮০ ভোট।

গজারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (নৌকা) ৪ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদল মিয়া (মোটরসাইকেল) পান ২ হাজার ১৮৯ ভোট।

বাসাইল উপজেলায় দুটি ইউপি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাসাইল সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সোহানুর রহমান সোহেল (নৌকা) ২ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম (আসারস) পান ২ হাজার ১৫২ ভোট।

কাশিল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা রমজান আলী মিয়া (মোটরসাইকেল) ৮ হাজার ৬৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা রাজিক (নৌকা) পান ৭ হাজার ২১৯ ভোট।

দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন (ঘোড়া) ৫ হাজার ৫০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী কৃষ্ণ কান্ত দে সরকার (নৌকা) পান ৩ হাজার ৩৭৩ ভোট।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্রে ইভিএমে স্লো ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর