• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রৌমারী-টু ঢাকা-রাস্তাটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২  

কুড়িগ্রামের রৌমারী  ও রাজিবপুর উপজেলায় চলতি বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময়ে মহাসড়কটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এ কারনে রৌমারী বাসস্টাান্ড থেকে প্রায় অর্ধশতাধীক বাস দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাষানপুর নামক স্থানে সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের অভিযোগ সময় মতো রাস্তা সংস্কারের কাজ করলে এরকম ভোগান্তির সৃষ্টি হতো না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কার্যাদেশে কালো পাথর দিয়ে ৫/১ এর বালু সিমেন্ট মিশ্রিত ৮ মি:লি: রড দ্বারা খাচা তৈরী করে ৫ ইঞ্চি পরিমান ঢালাই  করা ও ১ নম্বর  ইট দ্বারা ওয়াল নির্মাণের কাজ করার কথা থাকলেও সড়কটি প্রশস্থ করণ ও সংস্কার কাজে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠছে। মহাসড়কটি জামালপুর জেলার ধানুয়া কামালপুর হয়ে রৌমারী ভায়া দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার এবং টালুয়ারচর হতে রাজিবপুরের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের গাফলতি। ফলে জীবনের ঝঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এই দুই উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কটি এই দুই উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কিছু দিন থেকে সংস্কার কাজ বন্ধ রাখায় মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন ও পথচারিরা যাতায়াতে প্রতিনিয়তে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই। মহাসড়কের নির্মাণে অনিয়ম ও দূর্ঘটনার বিষয় নিয়ে একাধীক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলেও কার্যকরি কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। 
এদিকে রৌমারীর টালুয়ারচর হাফেজিয়া মাদ্রাসা হতে রাজিবপুর উপজেলার শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও কার্পেটিংয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কটি সংস্কার কাজের দরপত্রে কাজ পায় মের্সাস র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড।  গত ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংস্কারের কাজ শুরু করে। দরপত্র অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ জুন এর মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফলতিতে তা হয়নি।সড়কটি সংস্কারে ১ নম্বর ছিলকোট পাথর ১২ এমএম, ভাল প্রাইমকোট, কার্পেটিং থিকনেছ ৫০ এমএম এবং মাটির কাজ ৩ ফিট উভয় পাশে ও স্তোফে দুরমুজ করার কথা থাকলেও তা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়ম মাফিক কাজ না করে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছে। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল (ভার:) জানান, মহাসড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। ঠিকাদার কেন কাজ বন্ধ রেখেছে তা আমার জানা নেই, তার সাথে যোগাযোগেও করা সম্ভব হচ্ছে না। এনিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় সভায় ডিসি স্যারকে অবগত করবো।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা (সওজ) প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরেও কোন কাজ হচ্ছে না। বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর