• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রৌমারী নদের বালুরচরে সোনার ফসল

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩  

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার হলহলিয়া, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদের বালুরচরে সোনার ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা। 

বিগত বছরে চরের জমিগুলো সমতল না থাকায় কৃষকরা তাদের ফসল ফলাতে পারতেন না। বন্যার সময় নদীর পাড় উপচে ও বাধ ভেঙ্গে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত পানি প্রবেশ করে। বর্তমানে শুকনা মৌসুমে ব্রম্মপুত্র ও হলহলিয়া নদের ধু-ধু বালুরচরে গম, তিল, পিয়াজ গুয়েমুড়ি, বোরো ধান, বাদাম, মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে জেগে উঠা বালুচরেই চাষাবাদের চেষ্টা করেন। তবে নদের ভাঙ্গনের কবলে পড়া নিঃস্ব চাষিরা বালুরচর পেয়ে খুবই খুশি। পেটে দু’মঠো ভাত জোগাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বালুরচরে বিভিন্ন ফসলের চাষ করেন নদী পাড়ের মানুষ। তারা নারী, পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুর হাল বা ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছেন এবং বিভিন্ন জাতী বীজ বপন করছেন। ইতিমধ্যে কৃষকরা পিয়াজ, রসুন, মরিচ বাদামসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলেছেন। এ মাসের শেষের দিকে গম, প্যারা, তিল,খিড়া, তরমুজ, ভুট্টা তারা ঘরে তুলতে পারবেন। ছোট ও বড় মিলে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে নদের চরে। এসব চরাঞ্চলে ফসল উৎপাদনে খরচও অনেক কম। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছে। 
কৃষক মাসুদ রানা জানান, বালুচরে সামান্য চাষ দিয়ে ও অল্প পরিমানে সার প্রয়োগের মাধ্যমে বীজ বপন করা যায়। বীজ গোজানোর পরে একটু পানির সেচ দিতে পারলে ফলন অনেক বেশি হয়। বর্ষা আসার আগেই অধিকাংশ ফসল বাড়িতে নেওয়া যায়। 
ফুলকারচর এলাকার কৃষক আমির হোসেন বলেন, নদীর বুকে সব জমি ভেঙ্গে গেছে। এক টুকরো জমিও আমার নেই। অন্যের বালুরচরে ১৫ কাঠা জমি বর্গা নিয়ে গম বুনেছি। মেশিন দিয়ে পানি দিয়েছি। তাতে অল্প খরচে ভালো ফসল পাবো বলে মনে হচ্ছে। পরিত্যাক্ত এসব বালুচরে যদি আগাম বন্যা না আসে, তাতে তিল, কাউন, পাট জাতের মতো ফসল গুলিও সুন্দর ভাবে ঘরে তুলা সম্ভব হবে। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, রৌমারী উপজেলার কয়েকটি নদীতে অসংখ্য চর পড়েছে। নতুন নতুন চর জেগে উঠায় জমির পরিমাণ হিসেব করা এখনও শেষ হয়নি। তবে এসব চরে নদী ভাঙ্গন কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পুনরায় চাষাবাদ শুরু করেছে। চরে গেলে বালুরচর আর দেখা যায়না। শুধু ফসলের মাঠ চোখে পড়ে। কৃষি অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের মাঝে কিছু সার ও বিভিন্ন বীজ দেওয়া হয়েছে এবং উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সব সময়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর