• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মরিচের ফলন ভালো, দামে খুশি কৃষক

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩  

নেত্রকোণা কেন্দুয়ার কৃষি পণ্যের মধ্যে মরিচ অন্যতম অর্থকরী ফসল। এ বছর অনুকূল পরিবেশে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মরিচের ফলন ও দামে খুশি তারা।
কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর, কান্দিউড়া এবং চিরাং ইউনিয়নেই মরিচের চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এবার উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে হয়েছে মরিচের চাষ। হাওর এলাকার জমি বালিযুক্ত পলিমাটি হওয়ায় অন্য ফসলের চেয়ে মরিচ উৎপাদন তুলনামূলক বেশি লাভজনক। গত মৌসুম থেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে কাঁচা মরিচ বিক্রির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ক্ষেত থেকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে পাইকাররা কিনে নিচ্ছেন।

প্রতি বিঘায় কাঁচা মরিচের ফলন হয় প্রায় ৩০ মণ। এর বর্তমান বাজারমূল্য ৯০ হাজার টাকা। ফলে কৃষকরা কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।

কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক রফিক জানান, গত তিন বছরে দুই একর জমিতে মরিচ আবাদ করে শুকিয়ে বিক্রি করেছেন এক লাখ ২৫ হাজার টাকার। কিন্তু এবার একই পরিমাণ জমির কাঁচা মরিচ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। আরো ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। কাঁচা মরিচ শেষ হওয়ার পরে আরো ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার শুকনো মরিচ বিক্রি করতে পারবেন তিনি।

মোজাফফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা গ্রামের কৃষক রাসেল বলেন, কাঁচা মরিচ বিক্রির ফলে আমি প্রায় দ্বিগুণ লাভ পেয়েছি। এতে ফসল ঘরে তুলতে সময়ও লাগছে কম। নিয়মিত পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের শ্রমিক খরচও সাশ্রয় হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাজাহান কবীর জানান, এ বছর কেন্দুয়ায় ২২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। কাঁচা মরিচ শুকিয়ে প্রসেস করার পরে বিঘা প্রতি যে ফলন ও দাম পাওয়া যায়, তার তুলনায় কাঁচা মরিচে লাভ বেশি হয়। তাই কৃষকরা এখন এদিকেই ঝুঁকছেন। এ পদ্ধতি কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর