মধুপুরে বিদ্যালয়ে চুরি ঘটনায় গ্রেফতার ৭ ও ১২ ল্যাপটপ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাবটপ চুরির ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার বিকেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক তিন জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে এছাড়াও চারজন আদালতে স্বীকারোপমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভুটিয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. রেজাউল করিম (২১), ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর নয়াপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে ওমর সানি (২৫), একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু সাইদ (২২), ধনবাড়ী উপজেলার উখারিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মুক্তার হোসেন (২৪), মমিনপুর কাউচিবাজার গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. ইমরান (১৯) একই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে মো. খায়রুল ইসলাম (১৯), শোলাকুড়ি কড়ালিয়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শরীফ ওরফে শুভ (২০)।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, গত ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের যে কোন সময় ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব থেকে ১৬ টি ল্যাপটপ চুরি হয়। ল্যাবটপসহ যার আনুসঙ্গিক মালামালের আনুমানিক মূল্য আট লাখ টাকা। ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এপ্রিল পল মৃ মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়। চুরির মামলার ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নির্দেশনায় দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করার জন্য ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম নিরন্তর প্রচেষ্টা চালায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মো. রেজাউল করিমকে রোববার ভোর রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা গ্রেফতার করা হয়।
রেজাউলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানা এলাকা ওমর সানি ও আবু সাইদ গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে মুক্তার  হোসেন মো. ইমরান, মো. খায়রুল ইসলাম ও মো. শরীফ ওরফে শুভকে মধপুর ও ধনবাড়ি থানা বিভিন্ন এলাকা থেকে সকালে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রেজাউল করিমের হেফাজত হতে ছয়টি, ওমর সানির হেফাজত হতে দুইটি, আবু সাইদ, ইমরান, খায়রুল ও মুক্তারের হেফাজতে থাকা একটি, করে চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে আদালতের বিচারক চোর রেজাউল, ওমর সানি ও আবু সাইদকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। এছাড়াও বাকি চার জন ক্রেতা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। চুরিকৃত অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।