• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

এক সড়কে ১৫ ডায়াগনস্টিক, যানজট

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

সিলেট রিকাবীবাজার থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কটি সিলেট নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সাধারণ মানুষজন ছাড়াও প্রতিদিনই অসংখ্য রোগীদের যাতায়াত এ সড়ক দিয়েই। 
গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে গড়ে ওঠেছে ১৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। সবকটি প্রতিষ্ঠান রাস্তার পাশের ফুটপাত লাগায়ো হওয়ায় প্রতিদিনই যানজটের কারণে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

বিশেষ করে ওসমানী হাসপাতালগামী রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলো যানজটে আটকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টার পর থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে এ সড়কে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর নিরাপত্তাকর্মীদের অব্যবস্থাপনা ও ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী। 

দুর্ভোগ এড়াতে অনেক সময় স্থানীয়দের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। রিকাবীবাজার থেকে শুরু করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রথম গেইট পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে ছোট-বড় ১৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রয়েছে। 

এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলো পপুলার মেডিকেল সেন্টার। এছাড়াও রয়েছে, ইবনে সিনা, ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিসেস, ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক, মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস, দি সিলেট এক্স রে অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এমএফটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এনজেএল ইএনটি সেন্টার, কমফোর্ট মেডিকেল সার্ভিসেস, পদ্মা কম্পিউটারাইজট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দেশ এক্সরে অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আরোগ্য পলি ক্লিনিক, শাহজালাল হসপিটাল, আল রাইয়ান হাসপাতাল, পালস জেনারেল অ্যান্ড স্পেশালাইজট হসপিটাল। 

এসব ডায়গনস্টিক সেন্টারে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেলে সিলেটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন রোগীরা। বিশেষ করে পপুলার মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন শত শত মানুষ। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যারা চিকিৎসা নিতে আসেন তারা প্রত্যেকেই গাড়ি নিয়ে আসেন। যার কারণে বিকেল হলেই এ এলাকায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। 

সরেজমিন দেখা গেছে, বিকেল হলেই পপুলারের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের পার্কিংয়ে গাড়ি রাখার শৃঙ্খলায় ব্যস্ত থাকেন। যার কারণে রাস্তার মধ্যে অনেক গাড়ি আটকে থাকে। এতে করে সৃষ্টি হয় যানজট। যানজটে আটকা পড়ে ওসমানী হাসপাতালগামী অনেক অ্যাম্বুলেন্স। রোগীবহনকারী গাড়িও যানজটের দুর্ভোগে পড়ে। সাধারণ যাত্রীরাও ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। 

পপুলার মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর রোগীবহনকারী গাড়ির কারণে এই যানজটের সৃষ্টি। এটা নিরসনে তাদের কাজ করা উচিত। তারপরও যখন বেশি যানজট হয় তখন আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা গিয়ে কাজ করেন। আমাদের জনবল কম থাকায় সেখানে স্থায়ীভাবে ট্রাফিক সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব না। 

তিনি আরো বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকরা এখানে ব্যবসা করছেন। যানজট নিরসনে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করার জন্য আমরা বলেছি। তারা উদ্যোগ নিলে এ দুর্ভোগ আর থাকবে না। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর