উত্তরাকে সাংস্কৃতিক নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরাকে সাংস্কৃতিক নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তরার ৪১ কাঠা জমির উপর একটি নান্দনিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন করা হবে ।
আজ বিকালে রাজধানীর উত্তরাস্থ বিসিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (সাবেক স্কিটি) মিলনায়তনে গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কে.এম খালিদ আরো বলেন, উত্তরার ৩য় ফেজ প্রকল্পে রাজউকের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৪১ কাঠা জমি বরাদ্দ প্রদান করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বরাদ্দকৃত জায়গায় থাকবে আধুনিক মিলনায়তন, সিনেপ্লেক্স, লাইব্রেরি, জাদুঘর, প্রদর্শনী গ্যালারিসহ সংস্কৃতির সকল শাখা চর্চার সুযোগ-সুবিধা।
তিনি  বলেন, গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি উত্তরা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও জাগরণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর এ সংগঠনটির কর্ণধার ও প্রাণপুরুষ মাহবুব আমিন মিঠু যিনি গত ১৯ বছর ধরে নানাবিধ সংকট ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আন্তরিকতা, নিরলস শ্রম ও প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী এসময় সংস্কৃতি চর্চার সুবিধার্থে বিসিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তন সংস্কারের জন্য শিল্পমন্ত্রী বরাবর আধা-সরকারি পত্র প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক এবং গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির উপদেষ্টা হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আমিন মিঠু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব খেন চান। প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী (০৬-১৭ অক্টোবর) ‘দ্বাদশ গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩' -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।