• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সন্তানকে ছাড়েননি মা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে তিনটি বগিতে দুর্বৃত্তের আগুনের ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন। আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের। পপির দেবর প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ভাবির কোলে ছিল ছোট্ট ইয়াসিন। বাচ্চা নিয়ে উনি আর নামতে পারেননি। আগুন নেভানোর পর ওনার লাশ উদ্ধার করা হয়। তখনও তার কোলে ছিল সন্তানের মৃতদেহ। দুজন একসঙ্গে পুড়ে মারা গেছেন। মিনহাজুর জানান, তার ভাই মিজানুর রহমান কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যার সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তিনি রাজধানীর তেজতুরী বাজার এলাকায় থাকেন। তার সঙ্গেই থাকতেন পপি ও তাদের দুই সন্তান। সোমবার গ্রামের বাড়ি থেকে অন্য স্বজনের সঙ্গে তারা ফিরছিলেন। তারা সবাই ছিলেন ‘জ’ কোচের যাত্রী। তাদের মধ্যে পপির বড় ছেলে মাহিন (৯) ও ভাই হাবিব ট্রেন থেকে নামতে পেরেছেন। পরে তারা লক্ষ্য করেন পপি ও ইয়াসিন নেই। তবে ততক্ষণে ট্রেনের ওই কোচটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ফলে কিছুই করার ছিল না। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর চারজনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে দু’জন পপি ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন। তিনি বলেন, লাশ দেখে বোঝা যায়, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত সন্তানকে বুকে আগলে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ভাবি। তবে অনেক লোকের হুড়োহুড়ির মধ্যে পারেননি। সন্তানকে বুকে নিয়েই জীবন্ত পুড়ে মারা যান। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর থেকে ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, ভোর ৫ টা ৪ মিনিটে আগুনের সংবাদে সেখানে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়। পৌনে সাতটার দিকে আগুন নির্বাপণ করা হয়।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর