আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে

পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। পলিথিন মোড়ানো পোস্টার টানানোর ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না তিনি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রায় সকল প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী পোস্টার ব্যবহার করছেন। তবে গতরাত থেকে নির্বাচন অফিসের নির্দেশনা অমান্য করে শহরের পৌরসভা মোড়, সিঙ্গারা পয়েন্ট, কলেজ রোড, জুবিলী স্কুল সড়কসহ বেশকিছু সড়কে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যা নিয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, 'স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক প্রচার প্রচালনা পরিচালনায় এবং নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহারে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো বা পোস্টার প্লাস্টিক পলিথিন লেমেনিটিং করে ব্যবহার না করাসহ ইতিপূর্বে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।' এই ধারা উল্লেখ করে প্রতীক বরাদ্দের দিন জেলা নির্বাচন অফিসার পলিথিন মোড়ানো পোস্টার না লাগাতে নির্দেশনা দেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ পলিথিন মোড়ানো পোস্টার সাঁটিয়েছেন পুরো শহরে। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি অন্যান্য সকল প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কারণ ২৩ তারিখ থেকে গত রাত পর্যন্ত অন্যান্য প্রার্থীদের পলিথিন ছাড়া টানানো পোস্টার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর কুয়াশায় নষ্ট হয়েছে কয়েকবার। অথচ শহরের পৌরসভা মোড়, সিঙ্গারা পয়েন্ট, কলেজ রোড, জুবিলী স্কুল সড়কসহ বেশকিছু সড়কে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের টানানো পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে পোস্টার লাগানো হলেও বিকালে হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই পোস্টার নষ্ট হয়ে যায়। তাই পরদিন সকালে আবার পোস্টার লাগাই, তবুও নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করিনি। কিন্তু কেন শুধুমাত্র একজন প্রার্থী তার পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করবে? এগুলো কি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেখেন না? আমার মতে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি দেখার। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদ হোসেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের দিন জেলা নির্বাচন অফিস থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করা যাবেনা। পোস্টারে পলিথিন লাগানো আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। যে কারণে আমরা পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করিনি। এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান বলেন, নির্বাচন অফিসের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পোস্টারে পলিথিন লাগানোই। দেয়ালে পোস্টার আঠা পলিথিন লাগানো সম্পূর্ণ নিষেধ। জানতে চাইলে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওগুলো ভুলে লাগানো হয়েছে। যারা লাগিয়েছে তারা ভুল করেছে। আমি তাদেরকে সরিয়ে ফেলতে বলেছি। পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে কোন প্রার্থী তাদের পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কেউ পলিথিন ব্যবহার করে থাকে তবে আমাদের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।