• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর যেন ‘সোনার খনি’

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর এটি। ঢাকার মতো প্রায় প্রতিমাসেই কোটি কোটি টাকার সোনার চালান আটক হচ্ছে এ বিমানবন্দরেও। কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্টরা তৎপরতার কথা জানালেও তবুও যেন থামানো যাচ্ছে না সোনা পাচার। সোনার বাহকরা গ্রেফতার হলেও বরাবরই মূলহোতারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সোনা আটকের পর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের। মূলহোতাদের শনাক্ত করা সম্ভব না হলে সোনা চোরাচালান বন্ধ সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য বলছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৮ দিনে সাতটি চালানে ধরা পড়েছে ২০ কেজি সোনা। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৯ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্ধার করা হয় ১৩৪ কেজি সোনা। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ১০টির বেশি সোনার চালান ধরা পড়েছে এ বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর ও কাস্টমস সূত্র বলছে, চট্টগ্রামকে সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নেয়ার অন্যতম কারণ চট্টগ্রামের প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকেন। এর মধ্যে শ্রমিক পেশায় নিয়োজিত কিছু মানুষকে সহজেই সোনা চোরাচালানের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওমান থেকে আসা একটি ফ্লাইট থেকে সাত কেজি ৪২৪ গ্রাম ওজনের ৬৪টি সোনার বার উদ্ধার করেন বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আবদুল মতিন বলেন, ওমান এয়ারের ফ্লাইটটিতে সোনার চালান আসছে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি আসনের নিচ থেকে ৬৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, সোনা চোরাচালান বন্ধে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। এটি অব্যাহত থাকবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর