শিশু নুসরাত হত্যা: জবানবন্দিতে যে ‘কথাটি’ বললেন সৎমা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তিন বছরের শিশু নুসরাত জাহান রোজাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার সৎ মা জোবাইদা বেগম। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত জোবাইদা বেগম লোহাগড়া উপজেলার গিলাতলা গ্রামের সজীব কাজীর ২য় স্ত্রী ও নিহত শিশু নুসরাতের সৎ মা। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লোহাগড়া উপজেলার গিলাতলা গ্রামে ৩ বছরের শিশু নুসরাত জাহান রোজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুসরাতের সৎ মা জোবাইদা বেগমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে নিজের দোষ স্বীকার করে। পরে এই ঘটনায় শিশু নুসরাতের দাদা আবুল খায়ের কাজী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় তার সৎ মা জোবাইদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জোবাইদা জানান, বিগত ২০২১ সালে তার ফুফাতো ভাই সজীব কাজীর আগের ঘরে এক ছেলে ইয়াসিন কাজী ও এক মেয়ে নুসরাত জাহান রোজা আছে জেনেও বিবাহ করেন। ঘটবার দিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুই ভাইবোন ইয়াসিন ও নুসরাতের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে ইয়াসিন নুসরাতকে হাত দিয়ে আঘাত করলে নুসরাত কান্না করতে থাকে। পরে জোবাইদা বেগম তার কান্না থামাতে নুসরাতের মুখ চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে সে নুসরাতকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে কাঁথা দিয়ে ঢেকে নিজের দোষ আড়াল করতে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে নুসরাতের দাদা আবুল খায়ের কাজী বাড়িতে এসে তাকে গোসল করার জন্য ডাকলে কোনো সাড়া না দেওয়ায় তার দাদি পান্না বেগমকে ডাকেন ও কোলে নিয়ে দেখেন নুসরাত নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। আসামি জোবাইদাকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি আদালতে ঘটনার সত্যতা (শ্বাসরোধে হত্যা করেছে) স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।