• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

চুয়াডাঙ্গায় রোদের তাপে ভাজা যাচ্ছে ডিম

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪  

গল্প নয় বাস্তব। চুয়াডাঙ্গায় রোদের তাপে ভাজা যাচ্ছে ডিম। পাশাপাশি কাঠফাটা গরমে গলছে পিচঢালা পথ। জেলার বেশিরভাগ এলাকাতেই পিচঢালা পথ যানবাহনের ঘষায় গলতে শুরু করেছে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার মানুষ কাজ কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হলেই তাদের ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। তীব্র জ্বালাপোড়াসহ কালোভাব ছড়িয়ে পড়ছে সারা শরীরে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সূর্যের দাপট চলছে এখানে। ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি ঘর ছোঁয়া চুয়াডাঙ্গায় গরমের তীব্রতা প্রভাব ফেলেছে ব্যবসায় খাতগুলোতেও। অলিগলির রাস্তায় তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে বেড়েছে শরবত ও ঠান্ডা পানীয়ের অসংখ্য দোকান। এদিকে, দিনমজুরে খেটে খাওয়া মানুষ অসহনীয় তাপের কারণে হঠাৎই হচ্ছেন হিটস্ট্রোকের শিকার। গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জাকির হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জাকির দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দফতরি ছিলেন। মৃত জাকিরের বাবা আমির হোসেন বলেন, গরমে মাঠের ধান মরা অবস্থা। জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য জাকির সকাল ৭টার দিকে মাঠে যায়। মাঠে যাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে মাঠে স্ট্রোক করেছে। মাঠেক অন্য কৃষকরা ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায়। অপরদিকে, একইদিন (শ‌নিবার) বি‌কেল ৩টার দিকে হিটস্ট্রোকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মৃত ম‌র্জিনা খাতু‌ন নামে আরো এক নারীর মৃত্যু হয়। মৃত ম‌র্জিনা খাতু‌নের ছে‌লে কামরুল ইসলাম কামু বলেন, মা‌কে হাসপাতালে নেয়ার সময়ও টুকুও পেলাম না। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে খবর নিয়ে জানা যায়, হিটস্ট্রোক এবং গরমজনিত নানা রোগের শিকার হয়েই হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চুয়াডাঙ্গায় বেশি তাপমাত্রার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্কটক্রান্তি রেখার কারণেই এখানে তীব্র গরম অনুভূত হয়। মার্চ মাস থেকেই এ রেখায় সূর্য একটু বেশি ঝুঁকে থাকতে শুরু করে। যে কারণে চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালে গরম বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক এ রেখা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে যাওয়ায় শুধু গ্রীষ্মকালেই এখানে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয় না, শীতকালেও সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভব করেন স্থানীয়রা। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক কিসিন্জার চাকমা বলছেন, গরমজনিত যেকোনো রোগ থেকে দূরে থাকতে দেশবাসীকে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি গাছ লাগানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর