• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

পানিশূন্য ব্রহ্মপুত্র নদে কিটকট চেয়ার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

কিটকট চেয়ারে কেউ বসে আছেন কেউবা শুয়ে আছেন। কেউ আবার তুলছেন ছবি। সেখানে দেখা মেলে টিকটকারদেরও। ফলোয়ারদের জন্য তারা বানাচ্ছেন পছন্দের গানের টিকটক, রিলস। এ ছাড়া নদের মাঝখানে কাপড় টানিয়ে বানানো হয়েছে ড্রেসিং রুম। এরই মধ্যে নদের মাঝে বসেছে খাবারের দোকানও। কক্সবাজারের মতো আনন্দ দিতে ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্ক ঘেঁষা প্রায় পানিশূন্য ব্রহ্মপুত্র নদে এসব চেয়ার বসানো হয়েছে। এতে কিছু দর্শনার্থী ভাড়ায় বসলেও অনেকে করছেন হাসাহাসি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে বিরূপ মন্তব্য। জয়নুল আবেদীন পার্কে ঘুরতে আসা রাহাত আহমেদ বলেন, পার্কে ঘুরতে এসে কিটকট চেয়ার চোখে পড়ে। তারপর কিছুক্ষণ এখানে বসেছিলাম। তবে কক্সবাজারে উত্তাল ঢেউ কিটকট চেয়ারে বসে উপভোগ করার যেই আনন্দ, সেটি প্রায় পানিশূন্য ব্রহ্মপুত্র নদে পাওয়া যায়নি। আশরাফুল আলম নামে আরেকজন বলেন, ময়মনসিংহ নগরীতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের টার্গেট করে এগুলো বসিয়ে টাকা কামানো হচ্ছে। যারা এই চেয়ার বসিয়েছেন তাদের একজনের নাম রুহুল আমিন। তিনি জানান, কয়েকজন মিলে তারা এই কাজ করেছেন। বর্তমানে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিচ্ছেন না তারা। ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, মৃতপ্রায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কিটকট চেয়ারে বসানো ভ্রমণপ্রেমীদের বোকা বানানোর সামিল। নদটা দখল করে টাকা আয় করার একটি প্রক্রিয়া এটি। ধীরে ধীরে দখল হয়ে বিশেষ শ্রেণির মানুষের পকেট ভারী হবে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগরের সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, সৌন্দর্যের নামে নদ দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব চেয়ার উচ্ছেদ করার পাশাপাশি কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই যারা এই কাজটি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীক ও অন্য যেকোনো উদ্দেশে এটি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর