আলোর পথে গুচ্ছগ্রামের শিশুরা
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৪
অন্ধকার থেকে আলোর পথে জামালপুরের ইসলামপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুরা। ইসলামপুর উপজেলার একজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সহযোগিতায় চালু হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ভবঘুরে শিশুরা এখন স্কুলে গিয়ে পড়ালেখাসহ নানার রকম খেলাধুলায় মাতিয়ে তুলছে চারদিকের পরিবেশ। ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল বীর নন্দনেরপাড়া গুচ্ছ গ্রাম এবং চর নন্দনের পাড়াগ্রাম। ওই গুচ্ছগ্রাম, বীর নন্দনের পাড়া এবং চর নন্দনেরপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবার লোকসংখ্যা দেড় সহস্রাধিক। এসব দরিদ্র পরিবারে রয়েছে পাঁচ শতাধিক শিশু। তারা দীর্ঘদিন থেকে ন্যূনতম প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। গ্রাম দুটিতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। যেকারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল এলাকার শিশুরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের ওইসব শিশুরা সারাদিন ঘুরে বাড়াতো ছিন্নমূল শিশুদের মতো। জানা গেছে, ২০০৯ সালে বীর নন্দনেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে আমতলী বাজার এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। যমুনা নদী পার হয়ে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের পক্ষে ওই বিদ্যালয়ে যাওয়া অসম্ভব। এছাড়া গ্রাম দুটির অধিকাংশ পরিবারই অত্যন্ত দরিদ্র। তাই শিক্ষার প্রতি তেমন কোনো আগ্রহী নেই অভিভাবকদেরও। ফলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত দুই গ্রামের শত শত শিশু। চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, বীর নন্দনেরপাড়া এবং চরনন্দনেরপাড়া গ্রামে অন্তত ১ হাজার দুইশ লোকের বসবাস করেন। স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে শিশুরা সারাদিন ভবঘুরেদের মতো ছুটোছুটি করতো। এ অবস্থায় নভেম্বর ২০২৩ ইসলামপুর উপজেলার জনৈক সরকারি কর্মকর্তা গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শনে যান। গ্রামের শিশুদের শিক্ষা আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা দৃষ্টিতে আসে। তখন তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় নিজ উদ্যোগ দুই গ্রামের দরিদ্র শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নিয়োগ করেন একজন শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমার শিশুকন্যা মাত্র স্কুলে যাওয়া আসা শুরু করেছে। তার জন্য আমার অনেক পরিচর্যা করতে হয়। সম্প্রতি আমি গুচ্ছগ্রাম পরির্দশনে গিয়ে ছিন্নমূল শিশুদের মতো অনেক শিশু নজরে আসে। শিশুদের কাছ জানতে চাই তোমরা স্কুলে যাও না, তখন তারা জানায় তারা স্কুল চিনেন না। তিনি আরো বলেন, এ গ্রাম থেকে স্কুল ৩ থেকে ৪ মাইল দূরে। নদী পারাপার ও ধূ-ধূ বালুর চরে হেটে যাতে হয় তাদের। তাই অভিভাবকদেরও শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তখন আমার কন্যার কথা মনে পড়ে। তাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম ও ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেনের সহযোগিতায় তিন হাজার টাকা বেতনে একজন শিক্ষক রেখে একটি স্কুল স্থায়ীভাবে স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্কুলটি স্থাপন করা হয়। চলতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ওই গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, স্কুলটি যমুনা নদীতে ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই এই দুই গ্রামের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় কেউ কেনো উদ্যোগ না নেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখন সে সমস্যা কেটে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে এসব শিশুরা অবশ্যই মাধ্যমিক স্তরে পৌঁছবে। চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, উপজেলার একজন কর্মকর্তা গুচ্ছগ্রাম পরির্দশনে এসে শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের অবস্থা দেখে এই স্কুলটি স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এতে অবহেলিত শিশুদের জন্য কিছুটা হলেও শিক্ষার আলো দেখতে শুরু করেছে।
- উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- কুড়িগ্রামে সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: পরিবেশমন্ত্রী
- বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ রাষ্ট্রপতির
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- সম্ভাব্য ১৫১ জিআই পণ্যের তালিকা প্রস্তুত
- টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে সরকার
- সম্পদ অর্জনে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানরা
- সারাদেশে ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি, বজ্রপাতে ১২ মৃত্যু
- উপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র্যাব বিজিবি
- ইসরাইলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র
- সবার দৃষ্টি উপজেলায়
- উপজেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- জনচাহিদা মাথায় রেখে কাজ করুন
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়াদের সংগ্রামী জননেতা
- আজ ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী
- প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ
- প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন
- সুন্দরবনে পুন:অগ্নিকান্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং
- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে
- প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী: টিআইবি
- সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি বিল-২০২৪ উত্থাপন
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সমাবেশ
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- কুরআনের আলো ছড়াতে হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা ভূমিকা রাখবে
- টিভি শো’র দুই বিজয়ী জামালপুরের
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর
- বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
- অপরিচিতদের সঙ্গেও চ্যাটিংয়ে সুযোগ দেবে হোয়াটসঅ্যাপ
- এপ্রিলেই প্রকাশ হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল!
- জামালুপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা
- আজ ৫২তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস
- স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে শীর্ষে স্যামসাং
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল