• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ ডলারের দাম বৃদ্ধির পরও হজ প্যাকেজের খরচ কমানো হয়েছে : ধর্মমন্ত্রী এবারও হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হবে: সৌদি রাষ্ট্রদূত দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছাল খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী

ব্যাংকের অনিয়ম দুর্নীতি রোধে বাড়ানো হলো তদারকি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২১  

ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তদারকির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এগুলোকে করা হয়েছে আরও শক্তিশালী। বাড়ানো হয়েছে জনবল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা।


এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের অনুমোদনক্রমে মঙ্গলবার দুটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা ২৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

সূত্র জানায়, বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা জেঁকে বসেছে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের ৪ হাজার কোটি টাকা, ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৫ হাজার কোটি টাকা, এ্যানন টেক্স গ্রুপের সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা, বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, সানমুন স্টার গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে।

এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইনি কাঠামো ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করে। এরই অংশ হিসাবে এবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রধান দুটি বিভাগকে আরও শক্তিশালী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক তদারকি ও নীতি প্রণয়নে দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি)। এ বিভাগের কার্যক্রম দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি অংশ নীতি প্রণয়ন করবে। অপর অংশ তদারকি করবে। আগে পুরো বিভাগের দায়িত্বে একজন মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। এখন থাকবেন দুইজন। অন্যান্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এ বিভাগের ওপর আগে কাজের অনেক বেশি চাপ ছিল। যে কারণে এটিকে ভেঙ্গে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে তদারকির পাশাপাশি নীতি প্রনয়নে আরও গতি আসবে।

ব্যাংকগুলোর অনিয়মের ব্যাপারে নিয়মিত পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য আগে চারটি বিভাগ ছিল। এগুলোর দায়িত্বে ছিল ৬ জন মহাব্যবস্থাপক। ওই চারটি বিভাগ বাতিল করে নতুন আটটি বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আট জন জিএমকে। এছাড়া অন্যান্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে। এসব বিভাগের ব্যাংকগুলো পরিদর্শনের আওতাও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।

ফলে পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলো পরিদর্শনের আরও বেশি ক্ষমতা পাবেন।

তদারকির নতুন কাঠামোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে অবহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, পরিপত্র অনুযায়ী বিভাগগুলোর পুনর্গঠন কাজ এখন চলছে। অচিরেই তারা নতুন পদ্ধতিতে পরিদর্শন ও অন্যান্য তদারকির কার্যক্রম শুরু করবেন।

ব্যাংক তদারকির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর গুরুত্বপূর্ণ অফসাইট সুপারভিশন বিভাগকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। এতে দক্ষ কর্মকর্তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তদারকিতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রযুক্তির ব্যবহারও করছে। নতুন কাঠামোতে সংশ্লিস্ট বিভাগগুলোর প্রযুক্তির সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে পুনর্গঠন করেছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর