• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মায়াটুকুই তো সব: মৃত নানার চাদরটা পদ্মকে পরাবেন পরীমনি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৩  

শামসুল হক গাজীই (নানা) ছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণির একমাত্র অভিভাবক। গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। প্রিয় নানাকে হারিয়ে বিষাদের সাগরে ডুবে আছেন পরী। সেই বিষাদের কথা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন এই নায়িকা। প্রকাশ করেছেন নানার কবরের পাশে বসে থাকা কিছু ছবি। 
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লেখা আর ছবিগুলো পোস্ট করেছেন পরী।

পরী জানিয়েছেন, কোনোভাবেই নানার মৃত্যুশোক তিনি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। ঘুরেফিরে নানার কবরের পাশে গিয়েই বসে থাকেন। সেখান থেকেও উঠে আসতে ইচ্ছে করে না তার। 

তিনি বলেন,‘এর আগে যতবার নানু বাড়ি গেছি, নির্দিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই-একদিন বেশি থেকে যেতে বললেও থাকা হয়নি। আর এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’

নানার কবরে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগিয়েছেন পরীমণি। সেই গাছে পানি দেওয়া অবস্থায় নিজের উপলব্ধিও প্রকাশ করেছেন তিনি। খুব সহজেই বললেন, ‘এই বাড়ি (কবরকে ইঙ্গিত করে) একদিন আমারো শেষ গন্তব্য হবে!’

প্রিয় নানা ভাইয়ের চাদরটা যত্ন করে রেখে দিয়েছেন পরী। এই নায়িকা চান, একদিন সন্তান পদ্মকে চাদরটি পরিয়ে দেবেন। পরীমণির ভাষায়, জীবনের আসা যাওয়ার মধ্যে এই মায়াটুকুই তো সব।

প্রসঙ্গত, পরীমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন তিনি। নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। শামসুল হক গাজীর মৃত্যুর পরে তাকে নিজ গ্রামেই দাফন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন পরীমণি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর