• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

না ফেরার দেশে পঙ্কজ উধাস

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

উপমহাদেশের খ্যাতনামা গজল গায়ক পঙ্কজ উধাস মারা গেছেন। ৭২ বছর বয়সে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন এই সংগীত শিল্পী। আনন্দবাজার জানিয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করেছেন মেয়ে নায়াব উধাস। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উধাস ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন।’ অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে মত শতকের আটের দশককে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রঙ্গ’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনাকাব’-পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তার। ১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাতের জেটপুরে জন্ম পঙ্কজ উধাসের। কেশুভাই উধাস ও জিতুবেন উধাসের তিন সন্তানের মধ্যে পঙ্কজ ছিলেন কনিষ্ঠ। পরিবারসূত্রেই তার সংগীতের হাতেখড়ি। সন্তানদের সংগীতের প্রতি উৎসাহ দেখে কেশুভাই তাদের রাজকোটের সঙ্গীত অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দেন। শুরুতে তবলার প্রশিক্ষণ নিলেও পরবর্তী সময়ে গুলাম কাদির খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিতে শুরু করেন পঙ্কজ। পরবর্তী সময়ে গোয়ালিয়র ঘরানার জনপ্রিয় শিল্পী নবরং নাগপুরকরের কাছে তালিম নিতে পঙ্কজ মুম্বাই চলে আসেন। সিনেমার গানে তার অভিষেক হয় ১৯৮৯ সালে ‘হম তুম ওউর ওহ’ ছবির মাধ্য়মে। তার পর ‘সাথ সাথ’, ‘উৎসব’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’র মতো ছবিতে কণ্ঠ দেন। তবে ১৯৮৬ সালে ‘নাম’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘চিঠঠি আয়ি হ্যয়’ গানটি যেন তাকে জনপ্রিয়তা শিখরে পৌঁছে দেয়। ১৯৯১ সালে ‘সাজন’ ছবির ‘জিয়ে তো জিয়ে’ তার সংগীত জীবনের অন্যতম হিট গান। ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোনু নিগম পঙ্কজ উধাসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমার শৈশবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আজ হারিয়ে গেছে। শ্রী পঙ্কজ উধাসজি, আমি আপনাকে আজীবন মিস করব। আপনি যে আর নেই তা জেনে আমার হৃদয় কান্নায় ভেঙে পড়ছে। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’ সারা জীবনে দেশ-বিদেশের একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পঙ্কজ উধাস। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর