• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেস্তোরাঁ, ৪০ হাজার টাকা বিল মিটিয়ে খেতে পারবে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৩  

শহুরে জীবনে ঘুরে বেড়ানোর অন্যতম জায়গায় হচ্ছে রেস্তোরাঁ। বিশেষ করে জমকালো রেস্তোরাঁগুলোতে যুগলদের ভিড়-ভাট্টাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পাতে পছন্দের খাবার, আর সঙ্গে কাছের মানুষ— এমন মধুর সময় কাটাতে সকলেই প্রায় মুখিয়ে থাকেন। তবে অনেক সময়ই অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মনের মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো যায় না বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়।
একটু নিরিবিলি অথচ ভাল— এমন রেস্তোরাঁয় যেতে চান যুগলরা। তাদের জন্যই রয়েছে খুবই বিশেষ একটি রেস্তোরাঁ। দেখে মনে হবে যেন বাড়ির ছোটখাটো বৈঠকখানা। ছোট একটি ঘর। সেখানে সযত্নে সাজানো নানা ধরনের আসবাব, ছবি। মধ্যে রয়েছে একটি খাবার টেবিল। যেখানে মাত্র ২টি চেয়ার রাখা। শুধু দু’জনের জন্য বসার ব্যবস্থা। চারপাশে অন্য কোনও টেবিল নেই। অর্থাৎ, শুধু দু’জনই রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন।

ভাবছেন নিশ্চয়ই এ আবার কেমন রেস্তোরাঁ! মাত্র দু’জনই রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন! হ্যাঁ, এমনই এক খানাপিনার জায়গা রয়েছে ইতালিতে। দেশটির রাইটি এলাকায় রয়েছে এই ছোট রেস্তোরাঁ। যার নাম ‘সোলো পার দিউ’। ইতালিতে যার অর্থ ‘শুধু দু’জনের জন্য’।

‘সোলো পার দিউ’-ই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রেস্তোরাঁ; এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। মাত্র ৫০০ বর্গফুটেরও কম এলাকাজুড়ে রয়েছে এই রেস্তোরাঁ। নিভৃতে-নির্জনে একান্তে যাতে দু’জনে সময় কাটাতে পারেন, সে কারণেই এমন ব্যবস্থা। এই রেস্তোরাঁয় গেলে কেউ আপনাকে বিরক্ত করবেন না। মনে হবে যেন, বাড়ির বৈঠকখানায় বসে রয়েছেন।

তবে এই রেস্তোরাঁয় বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। রেস্তোরাঁয় চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। যুগলের ব্যক্তিগত মুহূর্ত যাতে নষ্ট না হয়, সে দিকে সর্বদা নজর থাকে রেস্তোরাঁকর্মীদের। রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যায় ফোনে বুকিং করা যাবে। তবে যে দিন রেস্তোরাঁয় যাবেন, তার ১০ দিন আগে বুকিং প্রক্রিয়া সারতে হয়। কী কী খাবার থাকছে, তা বুকিং নিশ্চিত করার সময় জানানো হয়।

এই রেস্তোরাঁয় বেশ কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলা হয়। মানে ধরুন, রেস্তোরাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছেন, ভাবলেন ভেতরে ঢুকে দেখি। তেমনটা কিন্তু হবে না। অর্থাৎ, বুকিং ছাড়া কেউই রেস্তোরাঁর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। আবার শেষ মুহূর্তে খাবার বাতিল করতে পারবেন না।

শুধু তাই নয়, যে সময়ে আপনার ওই রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য বুকিং থাকবে, সেই নির্দিষ্ট সময়েই সেখানে যেতে হবে। তার আগে গেলে রেস্তোরাঁয় ঢোকা যাবে না। রেস্তোরাঁয় পৌঁছনোর আধা ঘণ্টা আগে সেখানে ফোন করে জানাতে হবে। যে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার রেস্তোরাঁয় যাওয়ার কথা, সেই সময়েই পৌঁছাতে হবে।

সাধারণত রেস্তোরাঁয় প্রবেশের মুখে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য কর্মীরা থাকেন। এই রেস্তোরাঁয় কিন্তু তেমন কেউ নেই। অর্থাৎ, কেউই আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন না। রেস্তোরাঁয় চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। এমনকি, রেস্তোরাঁ বুকিং না করলে সেখানকার কর্মীদের নাম জানতে পারবেন না।

রেস্তোরাঁটি ছোট হওয়ায় চাহিদাও তুঙ্গে। তাই কয়েক মাস আগে থেকেই ওই রেস্তোরাঁ বুক করেন অনেকে। তবে এই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য খরচও নেহাত কম নয়। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

রেমো নামে রেস্তোরাঁর মালিক সিএনএন-কে বলেছেন, ‘রেস্তোরাঁয় যারা আসেন, তাদেরকে আমরা ক্রেতার চোখে দেখি না। অতিথি হিসাবে আপ্যায়ন করি। ওয়েটার রয়েছেন ঠিকই। তবে তাকে না ডাকলে তিনি অতিথিদের কাছে যান না।’

রেস্তোরাঁর চারপাশে বাগান রয়েছে। প্রকৃতির মনোরম পরিবেশের মধ্যে নির্জনে প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা এই রেস্তোরাঁ।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর