কস্তুরী কী এবং কোথায় পাওয়া যায়?
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৩

কস্তুরী। যা বিশেষ এক ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি। এটি হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায়, যা পৃথিবীজুড়ে মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত।
হরিণের ১০ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম।
কস্তুরীনামা
কস্তুরীর সুগন্ধি বহু গুণসম্পন্ন এবং বহু নামসম্পন্ন। এর ঘ্রাণ প্রকৃত যোজনগন্ধা বললে কম বলা হয়। কথিত আছে কস্তুরীর এক তিল পরিমাণ কোনো বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এর এক ভাগ মেশালে সমস্ত পদার্থই সুবাসিত হয় কস্তুরীর ঘ্রাণে।
কস্তুরী সংগ্রহকারীরা এই সুগন্ধিকে প্রায় প্রকৃত অবস্থায় রাখেন না; সচরাচর অন্য পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করেন। অন্য পদার্থের মধ্যে রক্ত বিশেষ একটি উপাদান। শুকিয়ে যাওয়া রক্তের সঙ্গে কস্তুরীর বিশেষ সাদৃশ্য আছে। কস্তুরীর সুবাসেও আছে বৈচিত্র্য এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন নামেও পরিচিত।
সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলিতে বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নির্জনে।
হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎকৃষ্ট কস্তুরীমৃগ পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে একপ্রকার ছোট আকারের হরিণ আছে, তারা ছাগলের চেয়ে বড় নয় কিন্তু দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এদের পা অতি সরু, মাথা সুন্দর এবং চোখ চমৎকার উজ্জ্বল।
এই হরিণ অন্য হরিণ থেকে আলাদা নয়। অত্যন্ত শীতল পার্বত্য পরিবেশে বাস করায় এদের লোম সরু না হয়ে অত্যন্ত মোটা ও পালকের মতো হয়। এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়।
কস্তুরী মৃগের ওপরের মাড়ি থেকে গজদন্তের মতো দুটি দাঁত ছোট আকারে বের হয়। এ ধরনের দাঁত সব প্রজাতির হরিণের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এই দেখেই কস্তুরী মৃগ সনাক্ত করা হয়।
এই প্রজাতির হরিণ আত্মরক্ষায় পটু। কিন্তু তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে না, কারণ এদের দেহের তীব্র ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ অনুসরণ করে শিকারি ঠিকই এদের সন্ধান পেয়ে যায়। এই হরিণের নাভি থেকেই মূলত এই সুগন্ধি দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়।
পুরুষ হরিণের নাভি মুখের গ্রন্থিতে এক বিশেষ ধরনের কোষের জন্ম হয়। এই কোষ যখন পূর্ণতা লাভ করে তখন এ থেকেই সুঘ্রাণ বের হতে থাকে। হরিণের ১০ বছর বয়সে সুগন্ধি কোষ পূর্ণতা লাভ করে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, যে হরিণটির নাভিতে এই কোষের জন্ম, সে নিজে কিছুই বুঝতে পারে না। তার নাকে যখন এই সুগন্ধ এসে লাগে তখন সে পাগলের মতো ছুটতে থাকে এই সুঘ্রাণের উৎসের সন্ধানে। অথচ সে বুঝতে পারে না যে, সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে তার নিজের দেহ থেকেই।
এই হরিণের ১০ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম।
কস্তুরীকোষের বাইরের দিকটায় থাকে এলোমেলো কিছু লোম। সেগুলো ছাড়িয়ে শুকনো কোষটিকে যখন পানিতে ভেজানো হয়, তখন পরিষ্কার কস্তুরী বেরিয়ে আসে।
কোনো কোনো হরিণের মধ্যে পাওয়া যায় খুব কম পরিমাণে কস্তুরী। অপরদিকে এই প্রজাতির সব হরিণের নাভিতে একই পরিমাণে কস্তুরী উৎপন্ন হয় না; হরিণের বয়স এবং পরিবেশভেদে কস্তুরীর পরিমাণের তারতম্য হয়। দেখা গেছে, এক কিলোগ্রাম কস্তুরী পাওয়ার জন্য প্রায় দুই হাজার হরিণ শিকার করতে হয়।
কস্তুরী যখন সংগ্রহ করা হয় তখন এর গন্ধ এত উগ্র থাকে যে হরিণের নাভিকোষ কেটে নেওয়ার সময় শিকারিরা মোটা কাপড় দিয়ে নিজেদের নাক বেঁধে নেয়। অনেক সময় এ গন্ধ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারো কারো চোখ, নাক থেকে পানি ও মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়। এমনকি জীবনহানিও ঘটে।

- বকশীগঞ্জে প্রতিবন্ধীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার-১
- যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীতে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যা
- ১৬ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ড. ইউনূসকে দুদকে তলব
- মার্কিন ভিসা নিয়ে সুখবর
- দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
- প্রধানমন্ত্রী ফিরছেন আজ
- ফেনীতে হচ্ছে ১০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
- ভিসা ছাড়াই ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা
- খালেদা জিয়ার বয়সতো আশির ওপরে, মৃত্যুর সময় হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
- এখন শিশুরাও খুলতে পারবে মোবাইল ব্যাংক হিসাব
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি
- দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটালে রেহাই নেই: প্রধানমন্ত্রী
- সেপ্টেম্বরে ১৯২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার
- স্পিকারের সঙ্গে নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা শুনে বিদেশিরা অবাক: কৃষিমন্ত্রী
- ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩২
- আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেবেন: এমপি আব্দুল হাই
- আওয়ামী লীগ প্রতিটি নির্বাচনে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণ করেছে
- হোসেনপুরে আলোক ফাঁদে পোকার উপস্থিতি, কীটনাশক ব্যবহার কমবে
- মানিকগঞ্জে সেলাই মেশিন-ভেড়া বিতরণ
- ‘লুকিয়ে জানালা দিয়ে দেখি- শ্বশুরকে বস্তায় ভরছে স্বামী ও ভাসুর’
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি, হোটেল মালিককে জরিমানা
- সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণে বদ্ধপরিকর: এমপি শাওন
- শেরপুরে অর্ধকোটি টাকার হেরোইনসহ গ্রেফতার ১
- ছিনতাইয়ের কবলে পড়া সেই নিশাদের মৃত্যু
- বিয়ে একজনের, বর সেজে কনে বাড়িতে হাজির ২০ জন
- পরিত্যক্ত ভূমিতে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক: মেয়র রেজাউল
- সজীব ওয়াজেদ জয় কোথায় আছেন জানালেন আরাফাত
- জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
- রূপপুরের পথে ইউরেনিয়াম
- সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
- দেশে এলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির প্রথম চালান
- বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক : ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী
- ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজ এলো মোংলায়
- বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে কোন আবেদন আসেনি : আইনমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রী জেগে আছেন বলেই দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে
- ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রূপপুরে পৌঁছেছে
- বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারার পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে
- ইতালির গুলিয়েলমো মার্কনি গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ কর্ণার যাত্রা শুরু
- বিএনপি সমস্যার সমাধান নয়, সংকট সৃষ্টি করতে পারে: ওবায়দুল কাদের
- সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস সালমানের
- জমজমের পানি নিয়ে নতুন নির্দেশনা সৌদির
- মহানবীর আদর্শ অনুসরণেই সফলতা-শান্তি নিহিত: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি-জামায়াত এখন তিন ভাগে বিভক্ত
- দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে তৃণমূল বিএনপি
