ছাঁটাই ছাড়াই চিকন চাল উৎপাদন
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চোখ জুড়ানো সোনালি ফসলের প্রান্তর। যতদূর দৃষ্টি যায়, মাঠ ভরা আউশের উচ্চফলনশীল ব্রি-৯৮ জাতের ধান বতাসে দোল খাচ্ছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) এই অনন্য উদ্ভাবন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে পতিত জমি ব্যবহার এবং বাজারে ছাঁটাই করা চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের চাহিদা কমাতে এই ধান আবাদ করা হচ্ছে। দেশে ব্রি-৯৮ সীমিত পরিসরে চাষ হলেও অন্যান্য ধানের তুলনায় দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি কীটনাশকের কম ব্যবহার এবং কম সময়ে পাকে। রোগবালাই না হওয়ায় আবাদে খরচ কম হচ্ছে। ফলে এই ধান উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
শনিবার এ জাতের ধানের চাষাবাদ ও ফলন দেখতে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর জেলার নলগডী গ্রামের একাধিক ধানের মাঠ পরিদর্শন করেন কৃষি কর্মকর্তারা। এ সময় ব্রি-৯৮ ধান চাষাবাদে নানা সম্ভাবনা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। সূত্র জানায়, দেশে ঝড়বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসেও এই ধান নষ্ট হবে না। এছাড়া অন্যান্য জাতের ধান বিঘাপ্রতি ১৫-২০ মন হলেও ব্রি-৯৮ পাওয়া যায় ২৩-২৫ মন। আর বীজতলায় ২০ দিন ও মূল জমিতে ৯০ দিনে এই ধান পাকে। তাই বাজারে এই সরু জাতের চালের সরবরাহ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশের কৃষকদের মাঝে এই বীজ পৌঁছে দিতে কাজ করা হচ্ছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আব্দুল লতিফ যুগান্তরকে বলেন, এই ধান বৃষ্টিতে হেলে পড়ে না। ধান লাগানোর সময় বৃষ্টি কম হলে কিছুটা সেচ দিতে হয়। এছাড়া কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। পোকামাকড়, রোগবালাইয়ের হার খুবই কম। তাই উৎপাদন খরচও কম হয়। এছাড়া কৃষক এই ধানের বীজ সংগ্রহে রেখে চাষাবাদ করতে পারবেন। সারা দেশের কৃষকের কাছে এই জাতের ধান পৌঁছে দিতে কাজ করা হচ্ছে। আশা করি, আগামী বছর দেশের সবকটি জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন অঞ্চলে এই জাতের ধান পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশের যে পরিমাণে সরু চাল দরকার, তা সরবরাহ করা যাবে। তিনি জানান, এই অঞ্চলে ধানের জমি পতিত থাকে। সেই পতিত জমি কাজে লাগিয়ে আউশ ধানের জাত ব্রি-৯৮ চাষাবাদ করানো হচ্ছে। এতে কৃষকের আয় বেড়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নলগডী গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান সোহাগ যুগান্তরকে বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে ব্রি-৯৮ জাতের ধান আবাদ করেছি। ৯০ দিনের মধ্যে ধান পেকেছে। এই জমি আমি পতিত রাখতাম। ব্রির সহযোগিতায় এই জাতের ধান উৎপাদনে আমি লাভবান হয়েছি। তিনি আরও বলেন, এই ধান আবাদে সার, সেচসহ অন্যান্য খরচ বাবদ দেড় বিঘায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি, ৩৩-৩৫ মন ধান পাব। এক মন ধানের দাম ১ হাজার টাকা হলে ৩৩-৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। যেখানে অন্যান্য ধান আমি ১৫-২০ মন পাই। বিক্রি করতে পারি সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে আমার উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় আয়ও বেশি করতে পারব।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ব্রির সঙ্গে সংযুক্ত থেকে আমরা কাজ করছি। এই জাতের ধান কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে চাষাবাদে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। উচ্চফলনশীল, রোগবালাইমুক্ত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ধান উদ্ভাবনে আমাদের লক্ষ্য ছিল। এটা আমরা ব্রি-৯৮ থেকে পাচ্ছি। মানবদেহে দরকারি সব ধরনের উপাদান এই চালে পাওয়া যাবে। তিনি জানান, ব্রি-৯৮ একটি সরু জাতের ধান। মাঠ থেকেই চিকন চাল উৎপাদন করা হচ্ছে। এই জাতের ধানের আবাদ বাড়াতে পারলে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামের ছাঁটাই করা সরু চাল আর কিনতে হবে না।
ব্রির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার জানান, ব্রি-৯৮ ধান আউশ মৌসুমে একটি মেগা ভ্যারাইটি। এই জাতটির দানা চিকন ও লম্বা। রোগবালাই নই বললেই চলে। আমাদের ব্রি-৪৮ ধানের চেয়েও ব্রি-৯৮ জাতের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। আমরা গত বছর প্রথম এই জাতের ধান আবাদ করেছি। এবার দ্বিতীয়বার আবাদ করা হচ্ছে। অনেক কৃষক আমাদের বলছেন, এই জাতের ধান বোরোর মতো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া বেশি আগাম জাতের হওয়ায় আবাদ করতে পানি, সার ও বালাইনাশক কম লাগে। এজন্য আবাদে কৃষকের খরচ কম হচ্ছে। এছাড়া ঝড়বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না।
- বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দল ঘোষণা, জায়গা পেলেন যারা
- শিগগিরই ফিলিস্তিনে খাদ্য সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু
- চলতি অর্থবছরে বাস্তবায়ন রেকর্ড সংখ্যক ৩৩৪ প্রকল্প
- সিভিল অ্যাভিয়েশনের শূন্যপদ পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ
- এমভি আবদুল্লাহর নাবিক-পরিবারে ঈদের আনন্দ
- থানচি-রুমা সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ : হাইকোর্ট
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ : হাইকোর্ট
- দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- অবশেষে কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ
- বজ্রপাত প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ফ্রান্স
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় আনতে হবে: স্পিকার
- চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম চান সিটি মেয়র
- হায়দার আকবর খান রনোর দাফন সম্পন্ন
- নারী কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করবে সরকার
- স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে ফ্রান্স
- কুতুবদিয়ায় পৌঁছাল এমভি আবদুল্লাহ
- চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের সময়কাল আগামী ১৬ মে থেকে শুরু
- সাম্প্রদায়িকতা-কূপমন্ডুকতা রুখতে দরকার সাংস্কৃতিক গণজাগরণ
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান
- নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ
- সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
- স্বপ্নজয়ী মা সম্মাননা পেলেন ১১ জন
- প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ তৈরিতে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে
- মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে বন্দীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না
- পাবনায় জটিল রোগে আক্রান্তদের মাঝে চেক বিতরণ
- কাস্টম গুদামের সোনা চুরি : প্রতিবেদন ৩০ জুন
- গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর
- অপরিচিতদের সঙ্গেও চ্যাটিংয়ে সুযোগ দেবে হোয়াটসঅ্যাপ
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে শীর্ষে স্যামসাং
- জামালপুরে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- জামালপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- ভারত সিরিজের জন্য শক্তিশালী বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- মেলান্দহে সম্পত্তির বিরোধে বৃদ্ধ খুন : আটক-৩
- দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো বিএসসিপিএলসি
- আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড