• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

প্রতীক পেয়েই মাঠে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

সোমবার প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি ভোটের মাঠে নেমে পড়েন প্রার্থীরা। সেইসঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও স্বজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই প্রকাশ্যে মাঠে সক্রিয় হয়। অনেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে শোডাউন করে পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ শুরু করেন। সরগরম প্রতিটি সংসদীয় এলাকা। আগে থেকে ছাপিয়ে রাখা প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সংবলিত পোস্টার লাগানো শুরু হয় সোমবারই। বিকেলের মধ্যে সব এলাকা পোস্টারে ছেয়ে যায়। ভোট প্রার্থনা করে মাইকিংও শুরু হয়। উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। এক হাজার ৯শ’র বেশি প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই সোমবার প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ নিজ এলাকায় প্রকাশ্যে গণসংযোগ করে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা শুরু করেন। তারা পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে কাউকে সালাম দিচ্ছেন, কারও সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, কারও সঙ্গে বুকে বুক, কারও বা হাত টেনে নিজের মাথায় রেখে দোয়া চান। আর ভোটাররাও নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন। এ ছাড়া প্রার্থীদের পক্ষে তাদের কর্মী-সমর্থকরাও মিছিল-স্লোগানে নির্বাচনী এলাকা মুখরিত করে তোলেন। পাড়া-মহল্লায় মাইকিং করে চলেছে ভোট প্রার্থনাও। চারদিকে মাইকে শোনা যায় ‘ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকলের।’ সরেজমিনে বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, সেগুনবাগিচা, বেইলি রোড ও মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রতীক বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সংবলিত নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সাইজের সাদাকালো পোস্টার রশিতে ঝুলিয়ে প্রতিটি রাজপথ ও অলিগলিতে টাঙানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি পোস্টার দেখা গেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নৌকা প্রতীকের। নির্বাচন কমিশনের তফসিলে বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রকাশ্যে এতদিন নীরবে গণসংযোগ করেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর পাল্টে যায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার চিত্র। নীরবতা ভেঙে সরব হয়ে উঠেছে প্রার্থী ও তাদের পক্ষের লোকজন। কোন প্রার্থী তার প্রতিপক্ষের চেয়ে প্রচারে এগিয়ে থেকে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এ নিয়ে শুরু হয় জোর প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে হেভিওয়েট প্রার্থীরা শোডাউন করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৭ রাজনৈতিক দল স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সকল প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করা শুরু হয় সোমবার সকালে। দুপুরের মধ্যেই সকল প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়ে যায়। প্রার্থী নিজে বা তার মনোনীত ব্যক্তিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক সংগ্রহ করেন। আর প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা সবার সঙ্গে কোলাকুলি ও দোয়া চাওয়া শুরু করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যান এবং হাসিমুখে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। কেউ কেউ প্রথমে মৃত বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে নির্বাচনের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। প্রার্থীদের পেছন পেছন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীও ভোট প্রার্থনায় সক্রিয় হন। বিএনপিসহ ক’টি দল জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও এবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৭টি দল ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়ায় ৩০০ আসনে প্রার্থী সংখ্যা এক হাজার ৯শ’র বেশি। গড়ে প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী সংখ্যা ছয়জনেরও বেশি। তাই প্রতিটি আসনেই চলছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার। কোনো কোনো আসনে রয়েছে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। তাই কে কার চেয়ে প্রচারে এগিয়ে থেকে ভোট ব্যাংক বাড়াতে পারে প্রথম দিন থেকেই টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করেন তারা। এবার আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে নৌকা প্রতীক দিয়েছে ২৬৩ জনকে। বাকি ৩৭টি আসন জোটের শরিক ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলকে সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছে। তবে ২৬৯ আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারাও নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় গণসংযোগ জোরদার করেছেন। এ ছাড়াও আরও স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। কোনো কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতোমধ্যেই প্রাক জরিপে এগিয়ে রয়েছেন। এর ফলে কোনো কোনো আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থীদের মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে। এদিকে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারকালে যাতে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি ভঙ্গ না হয় সেজন্য ইসি, সরকারের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসি। এ ছাড়া নির্বাচনে সবার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবিধান অনুসারে পাঁচ বছর পর পর দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হন তিনি সংসদে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। এলাকাবাসীর সমস্যা, দাবি-দাওয়া তিনিই উপস্থাপন করেন জাতীয় সংসদে। তাই প্রতিটি এলাকার মানুষই চান তার পছন্দের প্রার্থী ভোটে জিতে আসুক। বিশেষ করে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি প্রার্থীর স্বজনরাও চান সংসদীয় এলাকার নেতৃত্ব নিজেদের গ-ির মধ্যেই থাকুক। আর এ কারণেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে সবাই সক্রিয় হচ্ছেন। রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ইতোমধ্যেই মফস্বলে ছুটে গেছেন। আবার শহরের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে তাদের স্বজনরাও গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন। বিদেশ থেকেও এবার অনেক প্রবাসী স্বজনদের পক্ষে কাজ করতে দেশে ফিরে এসেছেন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোট। ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচন ঘিরেই আবর্তিত হবে দেশের রাজনীতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসায় শহর-বন্দর ও গ্রাম গঞ্জের হাট-বাজারের চায়ের দোকান ও রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে সর্বত্র বিরামহীন জমজমাট আড্ডা চলছে। এসব আড্ডায় প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেইসঙ্গে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ভবিষ্যতে কে কি ভূমিকা রাখতে পারবেন এবং ভোটের পাল্লা কার বেশি ভার এসব নিয়েও কথা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১৮ দিন বাকি। ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হলেও ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার পর আর প্রাচার চালানো যাবে না। ভোটের প্রচারের জন্য সময় আছে মাত্র ১৬ দিন। এ সময়ের মধ্যেই নিজ নিজ সংসদীয় এলাকার সকল ভোটারের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে প্রার্থীদের। তাই সোমবার প্রতীক বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে ভোটের প্রচারে মরিয়া হয়ে পড়েন অনেক প্রার্থী। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তাদের চোখে নেতিবাচক কিছু পড়েনি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। আর এ কারণেই তারা এখন আর নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করছেন না। তবে তারা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেখতে চান, আগেই তারা জানিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। পুরুষ ভোটার ছয় কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য আলাদা আলাদা ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছে ইসি। এই তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এবার ৩০০টি সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্র থাকছে ৪২ হাজার ৩৮০টি। আর ভোটকক্ষ থাকছে দুই লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি। ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করতে ১০ লক্ষাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধি অনুসারে প্রার্থীদের মানতে হবে নির্দেশনা। যত্রযত্র পোস্টার, সভা-সমাবেশ করা, যখন তখন মাইক ব্যবহার করা যাবে না। দুপুর ২টা থেকে শুরু করে সাত ঘণ্টা মাইকে প্রচার চালানো যাবে। সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হবে। তবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্যান্য ব্যক্তি প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইসি কর্মকর্তারা প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় বিরামহীন দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে জোর দিচ্ছি। নির্বাচন নিয়ে বিদেশের কোনো চাপ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ এ নির্বাচন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছে। তারা চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকারও চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের তরফ থেকেও আমরা বলেছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ঢাকার ২০ আসনে প্রতীক বরাদ্দ ॥ ঢাকার ২০টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। কোনো কোনো প্রার্থী নিজে এবং কোনো কোনো প্রার্থী প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নির্ধারিত প্রতীক ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-১ আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন। তবে এই আসনে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই। ঢাকা-২ আসনে প্রতীক পাওয়া চারজনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিবুর রহমান (ট্রাক) প্রতীকে লড়বেন। ঢাকা-৩ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী রেজা (ট্রাক) প্রতীক পেয়েছেন। ঢাকা-৪ আসনে অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র হিসেবে মোহাম্মদ মনির হোসেন (ঈগল), মো. আওলাদ হোসেন (ট্রাক) পেয়েছেন। ঢাকা-৫ আসনে ১২ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল (ট্রাক) এবং মো. কামরুল হাসান (ঈগল) প্রতীক পেয়েছেন। তবে ঢাকা-৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ এবং ১৩ আসনে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী না থাকলেও ঢাকা-১৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সবচেয়ে বেশি। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমরুল কায়েস খান (রকেট), জেড. আই রাসেল (ঈগল), মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ (দালান), সাবিনা আক্তার তুহিন (ট্রাক) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ঢাকা-১৫ আসনে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই। ঢাকা-১৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন (ঈগল) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ঢাকা-১৭ আসনেও স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই। ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজিম উদ্দিন (মোড়া), মো. বশির উদ্দিন (ঈগল), মো. খসরু চৌধুরী (কেটলি) এবং এস এম তোফাজ্জল হোসেন (ট্রাক) প্রতীক পেয়েছেন। সবশেষ তিনজনই ঈগল প্রতীক চাইলে পরে লটারির মাধ্যমে একজনকে ঈগল প্রতীক দেওয়া হয়। ঢাকা-১৯ আসনে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ (ঈগল) এবং সাইফুল ইসলাম (ট্রাক) প্রতীকে লড়বেন। ঢাকা-২০ আসনে এম এ মালেক (ট্রাক) এবং মোহাদ্দেছ হোসেন (কাঁচি) প্রতীক পেয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল জাসদ মশাল, গণফ্রন্ট মাছ, বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব, জাতীয় পার্টি-জেপি বাইসাইকেল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি হাতঘড়ি, তৃণমূল বিএনপি সোনালি আঁশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ছড়ি, ইসলামী ঐক্যজোট মিনার, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট চেয়ার, ন্যাশনালিস্ট ঐক্যফ্রন্ট টেলিভিশন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি একতারা এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নির্ধারিত কাঁঠাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর