• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

এগিয়ে যেতে হবে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪  

দেশের জনগণের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে- যা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যেন না হয় সে জন্য অনেক চক্রান্ত ছিল, কিন্তু তারা (চক্রান্তকারীরা) ব্যর্থ হয়েছে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল। কারণ, ইশতেহার দিয়ে ওয়াদা পূরণ করবে আওয়ামী লীগ, আর দেশের উন্নয়নও আওয়ামী লীগের হাতে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল।

আওয়ামী লীগের মতো একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকায় আমরা জনগণের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এবারের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সে বাস্তবতার ব্যাপক প্রতিফলন ঘটেছে। মানুষ কতটা সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগকে, তা বোঝা গেছে এবারের নির্বাচনে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথ  সভায় অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক জরিপেও আওয়ামী লীগ অনেক এগিয়ে ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব জরিপ আন্তর্জাতিকভাবে হয়েছিল তাতে স্পষ্ট ছিল বিএনপি নির্বাচন করলে কখনো সরকার গ্রহণ করার মতো সাফল্য অর্জন করবে না। সে রকম সিটও তারা পাবে না। এটা জেনেই তারা নির্বাচনে না এসে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। এরা (বিএনপি) গণতন্ত্র চায় না, নির্বাচন চায় না, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। দেশের জনগণ আবারও তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যে উন্নয়নের কাজগুলো আমরা করছি, সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। দেশের উন্নয়নের ধারাকে আরও গতিশীল করতে হবে। আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
নির্বাচনকে ঘিরে দেশের নানা স্থানে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী জড়িতদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নিয়ে সবাইকে উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। এবারের উন্মুক্ত নির্বাচনে অনেক দলীয় প্রার্থীই হেরেছেন, কেউ কেউ জিতেছেন। হার-জিত যা-ই হোক সেটা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেরা নিজেদের দোষ ধরতে ব্যস্ত হলে বিরোধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এসব মেনে নেওয়া হবে না বলেও দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, সবাই কী জয়ী হয়েছে? হতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা বা কার কি অপরাধ এগুলো খুঁজে বের করা, এসব বন্ধ করতে হবে। আমাদের দল ছাড়া কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি সেটা কিন্তু কাজের স্বীকৃতি। দেশে মানুষের জন্য আমরা কাজ করেছি, দেশের মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে।

সেখানে হয়ত কেউ জিততে পেরেছে, কেউ জিততে পারেনি। হারজিত যাই হোক সেটা সবাইকে মেনে নিয়ে অন্তত নিজের দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা যদি একে অপরের দোষ ধরতে ব্যস্ত থাকি, এটা আমাদের বিরোধী দলকে র্আর উৎফুল্ল করবে, তাদের কিছু সুযোগ দেওয়া হবে। 
যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অধিকাংশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর উপদেষ্টা পরিষদ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় দলের প্রধান শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্নাত করা হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগমন উপলক্ষে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও স্লোগান দিয়ে তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় এবং সরকার গঠনের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এটাই ছিল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কোনো প্রথম বৈঠক। এ বিষয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর গত কয়েকদিনে তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মীদের নিয়ে গণভবনে বৈঠক করতে পারতাম। কিন্তু ভেবেছি না আমার যেখানে মূল শিকড় সেখানে (দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) তাঁকে আসতেই হবে, সে জন্যই এই অফিসে তাঁর আগমন।
বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী যারা রেলগাড়িতে  আগুন দিয়ে মা ও সন্তান শিশুকে পুড়িয়ে মারে,  বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারে, রেলের ফিসপ্লেট খুলে রেল ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার জন্য ফাঁদ পাতে তাদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার এবং এই সন্ত্রাসী কর্মকা- দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় না অর্থাৎ তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশেই চায় না। গণতন্ত্র চায় না, নির্বাচন চায় না, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদের কথা ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, তারা লিফলেট বিলি করেছে মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায়। লিফলেট যত বেশি বিলি করেছে মানুষ তত বেশি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে। তাদের কথায় মানুষ সাড়া দেয়নি। এই যে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস সেটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
নির্বাচন ঘিরে বিএনপি অনেক চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, সহিংসতার জন্য বিএনপিকে কোনো দলীয় উস্কানি দেয়নি আওয়ামী লীগ, পুলিশও অনেক সহনশীল ও সংযত ছিল। তবু বিএনপি দেশের মধ্যে সহিংসতা করেছে। এখন তারা বিদেশী মুরব্বিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে তারা এমন কর্মকাণ্ড আরও করতেই থাকবে।
এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজারে পণ্য থাকার পরও অনেকে কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন? এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। রমজানে মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খাদ্যের দাম  যেন মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, সে ব্যবস্থা নেব। মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে বলে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান এত বেড়েছে যে, কৃষি কাজে শ্রমিক পাওয়াই দায়। একজন কৃষককে সারাদিন কাজ করাতে এখন তিন বেলা খাবার এবং ৭-৮শ’ টাকা দিতে হয়? সুতরাং, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ দুর্ভিক্ষের দেশ, ভিক্ষুকের দেশ মনে করে না। এখন সবাই মনে করে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, ’৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে এমন অবস্থায় ছিল, তখন বাংলাদেশ বললে মানুষ মনে করত একটা দুর্ভিক্ষের দেশ, দুর্যোগের দেশ; এ দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

জাতির পিতাকে হত্যার পর অনেক দেশ বলেছে, তোমরা তোমাদের নেতাকে হত্যা করেছ? তখন খুনি দেশ হিসেবে আমরা পরিচিত হই। সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে কোথাও গেলে বলত বাংলাদেশ তো হাত পাততে আসে। এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিটা পরিবর্তন হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুঃশাসন, নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই অফিসে ঢুকতে দিত না, চারদিকে পুলিশি ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। অনেক সময় নেতাকর্মীরা আটকা পড়ত, তখন আমি বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম এবং নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১ এ নির্বাচনের পর আমাদের অফিসটা হয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল।

কারণ, বিভিন্ন জেলা থেকে আহত নেতাকর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম। তিনি বলেন, ’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। স্বাধীনতাকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে।  
নির্বাচনকে সামনে রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যাতে না হয়, অনেক চক্রান্ত ছিল, অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আমরা নির্বাচন করেছি। তিনি বলেন, যে দল নির্বাচন করে না, তারা তো গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন করায় অভ্যস্ত না। যেসব জরিপ আন্তর্জাতিকভাবে হয়েছিল তাতে স্পষ্ট ছিল বিএনপি তাদের জন্য নির্বাচন করলে কখনো সরকার গ্রহণ করার মতো সাফল্য অর্জন করবে না। সে রকম সিটও তারা পাবে না। 
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বেলায় সার্ভে ছিল, শুধু একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। আওয়ামী লীগ পর্যাপ্ত সিট পাবে। এ কথা শোনার পর তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসবে না, এটা তো স্বাভাবিক। তা ছাড়া ওদের সৃষ্টি হয়েছিল অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তাদের পকেট থেকে। তারা জানে ক্ষমতায় বসেই নির্বাচন করতে। জনগণের ভোট চুরি করা, নির্বাচনে কারচুপি করা, এসব কালচার বিএনপির আমলেই সৃষ্টি। তারা ওটাই ভালো বুঝত।
প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, বিএনপির আগের চরিত্র দেখলাম গত ২৮ অক্টোবর। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। ২০১৩ সালেও এভাবে মেরেছিল। সেই একই চিত্র আমরা আবার দেখলাম। তারা বলে ওখানে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। যে অঞ্চলে পুলিশকে মারল সেখানে আওয়ামী লীগের কেউই ছিল না। ওরাই পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করে। গাড়ি পোড়ায়। প্রধান বিচারপতির বাড়ি, জাজেস কোয়ার্টার, সাংবাদিকÑ কেউ ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। 
তিনি বলেন, আমাদের মহিলারা মিছিল নিয়ে আসছিল, তাদের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা (বিএনপি) আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে কাঁদে। তাদের মুরব্বিদের কথামতো আবার কান্নাকাটি। তারা বলে সেটা উস্কানি, আসলে উস্কানিটা দিল কে? উস্কানি দেওয়ার মতো তো কেউ ছিল না। পুলিশ তখন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। এরা এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটাবে, ঘটাতেই থাকবে। দুর্নীতি করা আর মানুষ খুন করা, এটাই হচ্ছে বিএনপির চরিত্র। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
দ্রব্যমূল্য মানুষের এখন কষ্টের কারণ এমনটা স্বীকার করে সরকারপ্রধান বলেন, এখন মানুষের সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আমরা সেটা অনেকটাই কমিয়ে এনেছি। এখানে কিছু কিছু মহল আছে। একটু চক্রান্ত করেই মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। তবে এটাও সত্য যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে এতটা ছিল না। তিনি বলেন, সামনে রোজা। এই রোজার সময়ে যা যা দরকার। তার সবই আগাম কেনার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা রমজানে হতদরিদ্রদের বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়ে থাকি। সেই ব্যবস্থাও আমরা করব। ওএমএস চালু থাকবে।

মানুষের যাতে  কোনো কিছু কিনতে অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করব। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হ্রাস যাতে আরও টেনে ধরা যায় তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের উৎপাদন অনেক বেশি। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তার পরও কিছু জিনিস বিদেশ থেকে কিনতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে অর্থনৈতিক মন্দা আমরা তার থেকে দূরে নই। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তবে যে জিনিসগুলো আমদানি করতে হয়। যেমন গম, ভুট্টা এগুলো আমরা উৎপাদন করি। চাষ আমাদের বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই পণ্যগুলো আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে এতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার পরও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশনের ফলে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরও আমরা থেমে নেই। আমরা রিজার্ভের টাকা খরচ করে সেগুলো নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর