• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে:প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম একটি আধুনিক, পেশাদার এবং সুদক্ষ বাহিনীতে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি)-২০১৯ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি কোর্স)-২০১৯ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।   এসময় তিনি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ আলোকে একটি আধুনিক, পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র জোগাড় এবং প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী পরিচালনার যে নীতিমালা করে যান তারই আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সেনানিবাসও গড়ে তুলেছি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সচেতন এবং সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমরা একটা পেশাদার এবং প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে শন্তিরক্ষী মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যাচ্ছে এবং সেক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হচ্ছে। আবার শান্তিরক্ষী মিশনে গিয়ে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা চলতে পারে, যুদ্ধ সরঞ্জামের সঙ্গে যেন তাদের পরিচিতি থাকে এবং তারা যেন যেকোন ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনে কোন ধরনের দ্বিধাগ্রস্ত না হন সেজন্য প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বিষয়ে আমরা সচেতন। যতদূর সম্ভব সীমিত সম্পদের মধ্যেও সরকার তার জোগান দিয়ে যাচ্ছে।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় এটা মনে করি প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ এবং মানুষের প্রতি ভালবাসা প্রতিটি মানুষের মাঝেই এ চিন্তাটা থাকা উচিত। দেশ মাতৃকার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারেই আপনারা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এখানে এসেছেন। এ দেশ আপনাদের এবং আমাদের সবার-এ চিন্তা থেকেই এদেশকে আগামীর পথে এগিয়ে নিয়ে যাব, বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন তারা পরবর্তীতে নিজ নিজ দেশের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবেন। আমি আপনাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারাই হবেন আমাদের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর। কারণ, আপনারা একটি বছর এখানে থেকে বাংলাদেশকে চিনেছেন, সবার সঙ্গে মিশেছেন এবং আপনারা দেখেছেন যে, বাংলাদেশের মানুষ সাধারণভাবে খুব আন্তরিক এবং বন্ধুসুলভ। কাজেই, আপনারা আমাদের শুভবার্তা নিয়ে যাবেন নিজ দেশে। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা দেশ ও দেশের মানুষের কাজে লাগাবেন। সেটাই আমি কামনা করি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘সিকিউরিটি থ্রু নলেজ’ অর্থাৎ ‘জ্ঞানেই নিরাপত্তা’- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের এই মূলমন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে স্থিতিশীল, টেকসই উন্নয়ন, আত্মনির্ভরশীলতা এবং সর্বোপরি গৌরবময় অবস্থানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।   সরকার প্রধান বলেন, সবসময় একটা কথাই মনে রাখবেন- অনেক রক্ত দিয়ে এ স্বাধীনতা অর্জন। কোনক্রমেই আমরা একে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি কলেজের কমান্ড্যান্ট, সব ফ্যাকাল্টি সদস্য, রিসোর্স পারসনস ও স্টাফ অফিসারদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। প্রায় ৮৫ জন সশস্ত্র বাহিনী, জনপ্রশাসন এবং বিদেশি সামরিক কর্মকর্তারা ‘এনডিসি কোস-২০১৯’ এ এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৩৮ জন কর্মকর্তা ‘এএফডব্লিউসি কোর্স-২০১৯’ অংশগ্রহণ করেন। ১৬টি দেশের সামরিক কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। দেশগুলো হচ্ছে- চীন, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য, মালি এবং নাইজার।
দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর